নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
মিলাদুন্নবী মানে হলো রাসুল (সা.)-এর জন্মদিন বা জন্মবৃত্তান্ত আর সিরাতুন্নবী হলো রাসুল (সা.)-এর জন্মের পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সমগ্র জীবনবৃত্তান্ত। রাসুল (সা.)-এর সাহাবা, তাবেঈ, তাবে-তাবেঈদের সময়ে রাসুল (সা.)-এর জন্মদিনকে ঘিরে কোনো জৌলুস, অনুষ্ঠান, আনন্দ মিছিল এক কথায় ঘটা করে উদযাপনের কোনো নজির নেই। দ্বীনের যে বিষয়টি রাসুল (সা.) থেকে স্বীকৃত নয় সেটি ইসলামে পরিত্যাজ্য। যেমন রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি এমন কোনো আমল করবে, যে বিষয়ে আমার অনুমোদন নেই, তা আমলকারীর ওপর প্রত্যাখ্যাত হবে।’ (বুখারি: ২৬৯৭; মুসলিম: ১৭১৮)
দ্বিতীয়ত, যে জন্মদিনটি নিয়েই ইতিহাসবিদদের মাঝে রয়েছে বিস্তর মতবিরোধ, অর্থাৎ রাসুল (সা.)-এর জন্মদিন যেখানে নির্দিষ্ট করা সম্ভব হয়নি সেখানে রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখকে নির্দিষ্ট করে ঘটা করে আয়োজনের যৌক্তিকতাই নেই। তাছাড়া, রাসুল (সা.) ১১ হিজরির রবিউল আওয়ালের ১২ তারিখেই ইন্তিকাল করেছেন মর্মে অসংখ্য মত রয়েছে। (আর-রওদুল উন্ফ: ৪/৪৩৯-৪৪০; আস-সিরাহ আন-নববিয়াহ: ৪/৫০৯)
প্রশ্ন থেকেই যায়, যে দিনে রাসুল (সা.) ইন্তিকাল করেছেন মর্মে বিশুদ্ধ মত রয়েছে, সেদিনে আনন্দ-মিছিল, শোভাযাত্রা ইত্যাদি কিভাবে যুক্তিযুক্ত হতে পারে?
এ ছাড়া, রাসুল (সা.)-এর সিরাত তথা জীবনবৃত্তান্ত মানুষের জীবনের আদ্যোপান্ত জুড়ে প্রয়োজন রয়েছে। রাসুল (সা.) হলেন মানবজাতির জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ। (সুরা আহযাব: ২১) আর তাই একজন উম্মতের জন্য আমৃত্যু রাসুল (সা.)-এর আদর্শের ওপর অবিচল থেকে তার সিরাতকে জাগরিত রাখা একান্ত কর্তব্য।
তাই আসুন, রাসুল (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসার নাম করে দ্বীনের মধ্যে অতিরঞ্জন, বাড়াবাড়ি করা থেকে বিরত থাকি। মহান রব, আমাদের সবাইকে রাসুল (সা.)-এর সিরাত ও সুন্নতকে আঁকড়ে ধরে তদানুযায়ী আমল করার তাওফিক দান করুন। আমীন!
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ