নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাসী প্রত্যেক ঈমানদার মনে করেন, ভালো-মন্দ, সচ্ছলতা-অসচ্ছলতা, সুখ-দুঃখ—সব কিছুর মালিক মহান আল্লাহ। তাঁর ইচ্ছাতেই কখনো কখনো পথের ফকির হয়ে যায় প্রাসাদের মালিক। কোনো নিয়ামত পেলে এ বিশ্বাসের ওপরই সে ভর করে। সে উচ্চারণ করে—‘আলহামদু লিল্লাহ’।
অর্থাৎ কৃতজ্ঞতা ও প্রশংসা আল্লাহর জন্য। এসব নিয়ামত তাঁরই দান। এটা খাঁটি ঈমানদারের বৈশিষ্ট্য। ঈসা (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা বলেছিলেন, ‘তোমার পরে আমি এক উম্মত পাঠাব, প্রত্যাশিত কোনো কিছু যদি তাদের অর্জিত হয়, তাহলে তারা আল্লাহর প্রশংসা করবে ও তাঁর শুকরিয়া আদায় করবে।
আর যদি অপ্রত্যাশিত কোনো কিছু তাদের পেয়ে বসে, তাহলে তারা পুণ্যের আশায় ধৈর্যধারণ করবে।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৭৫৪৫)
রাসুল (সা.) বলেন, ‘ঈমানদারের জীবনাচার কত আশ্চর্য ধরনের! তার সব কিছুই কল্যাণকর। আর এটা তো শুধু ঈমানদারের ক্ষেত্রেই হতে পারে। সচ্ছলতায় সে শুকরিয়া আদায় করে। তখন সেটা তার জন্য কল্যাণকর হয়।
আর যদি তার ওপর কোনো বিপদ নেমে আসে, তাহলে সে ধৈর্য ধারণ করে। ফলে এটাও তার জন্য কল্যাণকর হয়ে যায়।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৯৯৯)
কোনো অনুগ্রহকারীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য অন্যতম উপায় হলো, অনুগ্রহকারীর ইচ্ছা ও চাওয়াকে গুরুত্ব দেওয়া ও তাঁর আনুগত্য প্রদর্শন করা। একইভাবে আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায়ের অন্যতম পন্থা হলো তাঁর আনুগত্য প্রকাশ করা।
তবে যেকোনো খুশির খবরে মিষ্টি বিতরণ করে আনন্দ প্রকাশ করায় কোনো দোষ নেই। (আল-ফাতাওয়াস সুলাসিয়া ১/৫৬)
এ ছাড়া খুশির কারণে শুকরিয়াস্বরূপ আল্লাহর পথে সদকা করার একাধিক হাদিস পাওয়া যায়।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ