নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
কোরআন পৃথিবীর সেরা গ্রন্থ। মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ। এর চেয়ে বিশুদ্ধ গ্রন্থ পৃথিবীতে আর নেই। প্রতিদিন কুরআন পাঠের গুরুত্ব অনেক বেশি। এই বিষয়ে আলোচনা করতে হলে প্রথমেই আমাদের কে জানতে হবে কুরআন কি? কুরআন আসমানি গ্রন্থ। যা হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর সুদীর্ঘ ২৩ বছরে জিবরিল আলাইহিস সালামের মাধ্যমে নাজিল হয়েছিল।
কোরআন মাজিদের প্রতি ইমান বা বিশ্বাস আনা হিদায়াতের পূর্বশর্ত। কোরআন তিলাওয়াতে ও শ্রবণে ইমান বৃদ্ধি হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যখন তাদের প্রতি কোরআন তিলাওয়াত করা হয়, তখন তা তাদের ইমান বাড়িয়ে দেয়।’ (সুরা-৮ আনফাল, আয়াত: ২)। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘কোরআন কারিম তিলাওয়াত সর্বোত্তম ইবাদত।’ (বুখারি)। ‘যে ব্যক্তি কোরআন পাঠ করল, তা অনুধাবন করল, এর হালালকে হালাল জানল এবং হারামকে হারাম জ্ঞান করল, আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং তার স্বজনদের এমন ১০ জনকে শাফায়াত করে জান্নাতে নেওয়ার সুযোগ দেবেন, যাদের জন্য জাহান্নাম নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল।’ (বায়হাকি)।
কোরআন তেলাওয়াত অনেক ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর জিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে; জেনে রাখ, আল্লাহর জিকির দ্বারাই অন্তর সমূহ শান্তি পায়।’ (সুরা রাদ, আয়াত : ২৮)
নিচু আওয়াজে হোক বা জোরে আওয়াজ করে যেকোনোভাবে কোরআন তেলাওয়াত করার অনুমতি রয়েছে। তবে জোরে আওয়াজ করে কোরআন তেলাওয়াত করার কারণে যদি কোনও নামাজরত বা ঘুমন্ত ব্যক্তির ব্যাঘাত ঘটে তাহলে জোরে আওয়াজ করে কোরআন তেলাওয়াত না করে আস্তে তেলাওয়াত করা উচিত।
কোরআন তেলাওয়াতের ফলে যদি নামাজরত ব্যক্তির ইবাদতে ব্যাঘাত ঘটার সম্ভাবনা থাকে তাহলে আশপাশে ফাঁকা জায়গায় গিয়ে তেলাওয়াত করবে। কিন্তু আশপাশে ফাঁকা জায়গা থাকা সত্ত্বেও কোনও নামাজি ব্যক্তির পাশে কোরআন তেলাওয়াত করা অনুচিত। যদি ফাঁকা জায়গা না থাকে তাহলে আস্তে আওয়াজে তেলাওয়াত করাই উত্তম। (রদ্দুল মুহতার : ১/৬৬০)
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ