ঢাকা, রোববার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫

পিটার হাস ও দেউলিয়া রাজনীতি

প্রকাশনার সময়: ২০ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:১৭

সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশের রাজনীতিতে মার্কিন ভিসানীতি একটি বিশেষ মাত্রা যোগ করেছে। ২০২১ সালে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে ২০২১ সালে র‍্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। পরিস্থিতিগত কারণে বিচারবহির্ভূত কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও গড় বিচারে অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনে র‍্যাবের অভূতপূর্ব ভূমিকা ও সাফল্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে যখন ভূয়সী প্রশংসায় সিক্ত তখন মার্কিন এই ভিসানীতি সচেতন মহলকে যথেষ্ট হতবাক করেছিল।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে তৎকালীন বিএনপি জামায়াতের চারদলীয় জোট সরকার সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের নামে কার্যত বিরোধী মত দমনে সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ রাইফেলস, পুলিশ ও আনসার সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনী ‘অপারেশন ক্লিন হার্ট’ পরিচালনা করেছিল। তাতে ৫৭ জনকে বিচারবহির্ভূত হত্যা ও কয়েক হাজার মানুষকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। এদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের তথা তৎকালীন বিরোধীদলের নেতাকর্মী ছিলেন। এতে আবার অনেকেই আজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করেছিলেন।

পরে ২০০৩ সালে একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে উক্ত অভিযানের দায়মুক্তি দেয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১২ সালের ১৪ জুন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্নার এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে মহামান্য উচ্চ আদালত ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ‘অপারেশন ক্লিন হার্ট’ এর দায়মুক্তি অধ্যাদেশকে অবৈধ ঘোষণা করে ক্ষতিগ্রস্তদের মামলা করার অধিকার প্রদান করেন। বলা বাহুল্য, এটি ছিল বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে চরমতম নির্দয়ভাবে হত্যার পর এর বিচার রোধে জিয়ার কুখ্যাত ইনডেমনিটি আ্য্যক্টের মাধ্যমে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনেরই পুনরাবৃত্তি।

স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে, বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় তখন আমেরিকার তর্জন কোথায় ছিল? উপরন্তু দেখা গেছে, ওই জোট সরকারের আমলে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় যখন এদেশে প্রকটরূপে জঙ্গিবাদের প্রকাশ্য উত্থান ঘটেছিল এবং নির্মমভাবে সংখ্যালঘু নির্যাতিত হয়েছিল তখন তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্যাট্রেসিয়া বিউটেনিস ওই সমসাময়িক বাংলাদেশকে ‘মডারেট ইসলামিক কান্ট্রি’ মর্মে সরকারকে প্রশংসা করে জঙ্গিবাদকে উৎসাহিত করেছিল।

এমনকি বিএনপি-জামায়াত জোটের আমলে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার ঘৃণ্য লক্ষ্যে ২১ আগস্টের নৃশংস গ্রেনেড হামলা এবং অ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল ইমাম, আহসান উল্লাহ মাস্টার, শাহ এম এস কিবরিয়ার মতো জনপ্রিয় নেতা ও সাংসদদের প্রকাশ্য দিবালোকে নৃশংস হত্যাকালেও এদেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্র সুরক্ষায় মার্কিন সরকারের তর্জন তো দূরের কথা, কোনো বেদবাক্যও শোনা যায়নি। বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনকে ঘিরে রাজনীতির প্রাঙ্গণ সরব থেকে উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনরত।

তারা ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রহসনের অভিযোগ এনে দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনে বিশ্বাসী নয়। অপর পক্ষে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ লতিফুর, ইয়াজুদ্দিন ও ফখরুদ্দিনের মতো পক্ষপাতদুষ্টে বিতর্কিত তত্ত্বাবধায়কের তিক্ত অভিজ্ঞতার আলোকে তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতির নির্বাচনে বিশ্বাসী নয়। এমনই এক দ্বান্দ্বিক সন্ধিক্ষণে মার্কিন সরকার আসন্ন নির্বাচনকে সুষ্ঠু করাতে সরকার, বিরোধী দল, সাবেক বিচারপতি ও আমলা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর কৌশলগত ভিসা নিষেধাজ্ঞার ভিসানীতি প্রণয়ন ও প্রয়োগ শুরু করে। ঘোষিত ভিসানীতিকে ঘিরে সরকারি ও বিরোধী দলের মধ্যে সৃষ্ট পারস্পরিক দোষারোপের বাতাস সচেতন মহলকে যথেষ্ট বিস্মিত করে তুলেছে।

অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, জনগণ নয় মার্কিন ভিসাই যেন রাজনীতির সার্বিক পাথেয়; একশ্রেণির আমলাদের নীরব আতঙ্কে মনে হচ্ছে স্বদেশ নয়, আমেরিকা বা বিদেশ-বিভুঁই তাদের অস্তিত্বের নাভিমূল- যা সত্যিই লজ্জাকর ও দুঃখজনক বটে। এদেশের সাধারণ সচেতন মানুষ এই প্রথম রাজনীতিতে এমন অন্তঃসারশূন্যতা লক্ষ্য করল। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বৈদেশিক হস্তক্ষেপ অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেপরোয়া ও দুরভিসন্ধিমূলক। বিশেষ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের অনধিকার তথা নিয়মবহির্ভূত ভূমিকা জনমনে নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

কেননা, হাসের এমন অযাচিত হস্তক্ষেপ জেনেভা কনভেনশনের নীতিমালাকে স্পষ্ট চ্যালেঞ্জ করে। তিনি এখন অনেকটাই বিরোধী দলের ক্রীড়নকে পরিণত হয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি আমেরিকার ভূরাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থের কূটকৌশলেরই অংশ। সঙ্গে বর্তমান সরকারের ইসরায়েলবিরোধী ফিলিস্তিনপক্ষীয় নীতি মার্কিন কূটকৌশলে বাড়তি উপযোগ সৃষ্টি করেছে। ফলে, আমেরিকা ও তার দোসর পশ্চিমাদের সরকারবিরোধী মনোভাব আরও প্রকট রূপে দৃশ্যমান হচ্ছে।

কেননা, চলমান আন্দোলনে বিরোধী দলের কিছু গণবিরোধী ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে বিরোধী দলকে সমালোচনার পরিবর্তে সরকারের ভূমিকাকেই বেশি দায়ী করা হচ্ছে যা পক্ষপাতদুষ্টতার নগ্ন প্রকাশ মর্মে সচেতন মহলকে হতবাক করেছে। যখন সরকার ও বিরোধী দল উত্তপ্ত অবস্থানে তখন বিরোধী শিবিরে পিটার হাসের অনির্ধারিত একাধিক রুদ্ধদ্বার বৈঠক জনমনে সন্দেহের জন্ম দিয়েছে। কেননা, বৈঠক শেষে আলোচনার বিষয়বস্তু হিসেবে তিনি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পর্কিত শুধু কয়েকটি গদবাধা বাক্যই বারংবার সাংবাদিক ব্রিফিং এ আওড়ান! অথচ প্রতিটি দীর্ঘ বৈঠকে শুধু দু’চারটি নির্ধারিত কথাই আলোচ্য বিষয় হতে পারে না যা সাধারণ মানুষও এটা বোঝে। জাতীয় রাজনীতির এমন সংকটকালে হাসের এমন ডুবুডুবু খেলা যথেষ্ট সন্দেহের উদ্রেক করে। মনে হচ্ছে সে জ্বলন্ত আগুনে ঘি ঢালছে!

কেননা, সকল মিডিয়ায় এবং এমনকি রাজনৈতিক মঞ্চেও বিএনপি এবং তার জোট দোসরদের যেভাবে মার্কিন পিরিতি পরিলক্ষিত হয় তাতে মনে হয় আমেরিকাই তাদের সর্বৈব অভিভাবক। মার্কিন শক্তিতে বলিয়ান হয়ে মিডিয়ার টক-শো তে শিষ্টাচারের সীমানা পেরিয়ে এদের শরীরী ভাষা কখনো কখনো বেশ সন্ত্রাসী হয়ে ওঠে। মার্কিন ভিসানীতি বিএনপির আন্দোলনকে বেগবান করেছে মর্মে মির্জা ফখরুল সম্প্রতি এক জনসভায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

এরপরে, এক সেমিনারে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর পিটার হাসকে ‘বাবা ভগবান... তুই আমাদের রক্ষা কর’ বলে বাংলাদেশের রাজনীতির পবিত্রতা হিসেবে তাকে ভক্তি প্রদর্শন করেন এবং উপস্থিত সকল নেতারা তাতে সমর্থন জোগান। রাজনীতির সংকটময়কালে বিএনপির এমন মনোভাবের বিরুদ্ধে ভিয়েনা চুক্তির প্রতি সম্মান রেখেই পিটার হাসের একটি নিরপেক্ষ বিবৃতি সচেতন মহল আশা করেছিল। কিন্তু হতাশ! এতে হাসের গণতন্ত্রের মুখোশি আড়ালে পক্ষপাতদুষ্টতার ঘৃণ্যচিত্র অবলীলায় প্রকাশ পায়।

এমনকি যুদ্ধাপরাধী অনিবন্ধিত জামায়াতের সঙ্গে গোপন বৈঠকের মাধ্যমেও একটি দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনষ্টের দায়ে পিটার হাস তার ভিয়েনা শিষ্টাচারের চরম লঙ্ঘন করেছেন বলে মনে হয়। ২৮ অক্টোবর বিএনপির পূর্বঘোষিত যুদ্ধাংদেহী কর্মসূচি জানা সত্ত্বেও হাসের একাধিক গোপন বৈঠক বিশেষ কোনো দুরভিসন্ধিরই ইঙ্গিত দেয়।

২৮ অক্টোবরের টানটান উত্তেজনার মধ্যে বিএনপির নয়াপল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে মিয়া আরেফি ওরফে জাহিদুল ইসলাম আরেফি নামে বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা পরিচয়ে জনৈক ব্যক্তিকে দিয়ে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনসহ অন্যান্য মধ্যম সারির নেতাদের উপস্থিতিতে মার্কিন হুমকির নাটক মঞ্চস্থ করা হয় যা পরবর্তীতে দেশব্যাপী ঘৃণার ঝড় সৃষ্টি করে। মূলত প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মনোবল ভেঙে দিতে এবং আন্দোলনকে বেগবান করতেই এমনটি করানো হয়। এর প্রেক্ষিতে বিএনপি সহ জোটের নেতাকর্মীরা চলমান আন্দোলনে যথেষ্ট উৎসাহিত ও ভয়ঙ্কর রকমে উত্তেজিত হয়ে ওঠে।

একপর্যায়ে তারা আশপাশের এলাকায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞতা চালায়। ছাত্রদলের এক নেতা কর্তৃক একজন পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ৮০ জন পুলিশ ও ৩০ জন সাংবাদিক আহত হয়। চরম উত্তেজনার একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবন সহ জাজেস লাউঞ্জে নজিরবিহীন ভাঙচুর চালানো হয়। নিষ্ঠুরতা থেকে মানবিকতার শেষ ঠিকানা হাসপাতালও রেহাই পায়নি। সেসময় রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নজিরবিহীন ভাঙচুর চালানো হয়। বিএনপির দাবি অনুযায়ী, তাদের এক কর্মীও পারস্পরিক বিশৃঙ্খলার একপর্যায়ে নিহত হয়। অ্যাম্বুলেন্স সহ অনেক গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

অর্থাৎ তাবৎ পরিস্থিতি একটি যুদ্ধ রূপ পরিগ্রহ করে। বিস্ময়ের বিষয় হলো যে হাস মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ইস্যু নিয়ে সারাদিন বকবক করত, বিএনপি জামায়াতের নেতৃত্বে সংঘটিত এসব নির্মম ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সে অদ্যাবধি কোনো আনুষ্ঠানিক ঘৃণা জানায়নি। ইতোমধ্যে, জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশন থেকে উদ্ভূত সহিংসতায় নিন্দা জানালেও বিরোধী দলের দোষ এড়িয়ে সরকারের ঘাড়ে দোষ চাপানোর এক সূক্ষ্ম কৌশলী বিবৃতি দিয়েছেন যা তাদের নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে উক্ত একপেশে বিবৃতির প্রতিবাদ জানিয়ে তা সংশোধনের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। আমেরিকা ও তার দোসরদের স্বার্থ চরিতার্থে জাতিসংঘের বিতর্কিত ও পক্ষপাতিত্ব ভূমিকা বিশ্বে নতুন কিছু নয়। ভিয়েতনাম, ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া, আফগানিস্তান প্রভৃতি ইস্যুগুলো এটার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মানবাধিকার ও গণতন্ত্র আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদ প্রতিষ্ঠার যে একটি কূটকৌশলী ইস্যু, তা আর বুঝতে কারোর বাকি নাই। সম্প্রতি ফিলিস্তিনের গণহত্যায় ইসরায়েলের পক্ষে আমেরিকার সার্বিক সহযোগিতা সবিশেষ সেই ধূর্ততাকেই প্রমাণ করে। সার্বিক বিবেচনায়, পিটার হাসের পক্ষপাতদুষ্ট ভূমিকাই ২৮ অক্টোবরের সহিংসতাকে চরমভাবে উস্কে দেয় মর্মে প্রতীয়মান হয়। বলা বাহুল্য, বিএনপির এহেন বিদেশ নির্ভরতা জাতীয় রাজনীতিতে নজিরবিহীন। এটি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করে যা গভীর দুঃখজনক ও যথেষ্ট উদ্বেগজনক।

কথিত আছে, আমেরিকা যার বন্ধু তার শত্রুর প্রয়োজন হয় না। ঐতিহ্যিক ও ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত যে, বাংলাদেশের রাজনীতি এদেশের মাটি ও মানুষের অবিমিশ্র ধারায় অবগাহিত ও ধাবিত হয়। কোনো অন্দরমহলের কূটকৌশলী বৈঠকে এদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম হয়নি- মহান মুক্তিযুদ্ধ তার কালজয়ী উদাহরণ।

জাতির পিতা বলতেন, ‘আমাদের মাটি, মানুষ আছে’। আবহমান বাঙালির চিরায়ত অনুভূতি ও বাংলার মাটির চিরন্তন সুগন্ধ তার মননে, চেতনে ধারণ করেই তিনি জীবন নিংড়ে প্রমাণ করে গেছেন যে, এদেশের রাজনীতির ভিত্তি মূলই হলো এদেশের মাটি ও মানুষ। সুতরাং, আমরা চাই বিএনপি আমাদের জাতীয় রাজনীতির ব্যুৎপত্তিগত স্রোতধারায় অনুশীলিত হোক। কোনো হিংসাত্মক স্বার্থ চরিতার্থে বিদেশ নির্ভরতা নয় বরং দেশ ও জনগণই হোক রাজনীতির ভিত্তি, নির্ভরতা।

লেখক: কলামিস্ট

নয়াশতাব্দী/জেডএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ