নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
বর্তমানে রাস্তায় কুকুরের সংখ্যা অত্যধিক বেড়েছে। কুকুর কাউকে আঁচড় বা কামড় দিলে অধিকাংশই শুধু জলাতঙ্কের কথা চিন্তা করে ভীত হন। তবে জলাতঙ্কই নয়, ধনুষ্টংকাসহ বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রামক রোগও ছড়াতে পারে। তবে কুকুরে কামড়ালে উত্তেজিত না হয়ে নিতে হবে কার্যকরী পদক্ষেপ।
হঠাৎ কুকুর কামড়ে দিলে অনেক সময় দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয় না রোগীর। তাই এই সময়টাতে রোগীকে দিতে হবে প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিৎসা।
কুকুর কামড়ালে র্যাবিস নামক এক ধরনের জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে। যে জীবাণু থেকে মানুষ জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছর সারা বিশ্বে হাজার হাজার মানুষ জলাতঙ্ক রোগে প্রাণ হারান।
তাই অনাকাঙ্ক্ষিত এমন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রথমেই আক্রান্ত স্থানে অর্থাৎ কুকুর যেখানে কামড় দিয়েছে সেই স্থান গরম পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। এমনভাবে ধুতে হবে যাতে সে জায়গা অনেকটাই জীবাণুমুক্ত হয়। এরপর সেই স্থানে অ্যান্টিসেপ্টিক লাগাতে পারেন।
যদি বাড়িতে অ্যান্টিসেপ্টিক না থাকে তাহলে গোলমরিচের গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন। তবে এতে জ্বালা হলেও কুকুরের বিষ অনেকটাই নষ্ট হয়ে যাবে।
পেঁয়াজের রস, আখরোট বাটা, মধু ও লবণ দিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে তা ক্ষত স্থানে লাগাতে পারেন। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সরিষার তেলও ক্ষত স্থানে মালিশ করতে পারেন। এতে ক্ষত স্থান দ্রুত সেরে উঠবে।
অ্যান্টিসেপ্টিক গুণ সমৃদ্ধ হলুদ বাটাও বেশ কার্যকরী। এরপর আক্রান্ত স্থান ব্যান্ডেজ করে নিন। নিকটস্থ হাসপাতালে গিয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করুন।
প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ১৪ টি ইনজেকশনও গ্রহণ করুন। যদি এসব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হেয়ালি বা অবহেলা করা যাবে না। আপনি জলাতঙ্কে রোগে আক্রান্ত হয়ে অকালেই প্রাণ হারাতে পারেন। তাই আপনাকে সচেতন হতে হবে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ