নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
বর্তমান ফ্যাশনে যুক্ত হয়েছে নতুন একটি নাম তা হলো কলমকারি। কলমকারির ব্লাউজ, শাড়ি, স্কার্ট, কুর্তি প্রায় অনেককেই পড়তে দেখা যায়। কিন্তু কলমকারি আসলে কোথায় থেকে আসলো, সে সম্বন্ধে আমাদের অনেকেরই কোনো ধারণা নেই।
জেনে নিন কলমকারির আসল ইতিহাস সম্পর্কে-
কলমকারি আসলে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের একটি বহু প্রাচীন শিল্প। আমরা যেমন মসলিন নিয়ে গর্ব করি, তেমনি দক্ষিণ ভারতের তেলেগুভাষীরা কলমকারি নিয়ে গর্ব করে। এই শিল্প এত সূক্ষ্ম এবং এত সুন্দর যে একবার দেখলে যে কেউ এর প্রেমে পড়তে বাধ্য। প্রাকৃতিক রং দিয়ে, সরু তুলির সাহায্যে শিল্পীরা কাপড়ের উপর ফুটিয়ে তুলতেন রামায়ণ-মহাভারতের গল্প। আর সেই কাপড় দিয়ে তৈরি হত নানা পোশাক, ফার্নিশিংও। এই শিল্পের নাম হলো কলমকারি।
কলমের মতো সুক্ষ্ণ তুলি দিয়ে আঁকা হয় বলেই কলমকারি হিসেবে পরিচিতি পায় বলে অনেকেই ধারণা করে থাকেব। এই কাজ হতে পারে সুতি কিংবা সিল্কের উপর। কিন্তু এটি করতে প্রচুর সময় লাগে এবং আঁকা হয়ে যাওয়ার পর নদীর বয়ে যাওয়া নদীর তা ধুয়ে রং পাকা করতে হয়। তবে অরিজিনাল কলমকারি আমাদের দেশে সেরকম পাওয়া যায় না। আসল কলমকারির দাম বেশ চড়া। এখন কলমকারি বলে যে বাজারে যা পাওয়া যায়, তা হচ্ছে কলমকারি আঁকার ধাঁচের প্রিন্ট।
খেয়াল করে দেখবেন, অনেক সময় আউটলাইন থেকে রং বাইরে বেরিয়ে যায়, সেগুলো হচ্ছে কলমকারি ব্লক প্রিন্ট। আর যেগুলো রং আউটলাইনের মধ্যেই থাকে, সেগুলো হচ্ছে মেশিন প্রিন্ট। এই ফেব্রিকগুলো যে কারো সাধ্যের মধ্যেই পেয়ে যাবেন। তবুও রোজকার ফ্যাশনে এই কলমকারি প্রিন্ট বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
শাড়ি :এটা হচ্ছে ইদানীং কালের বাঙালিদের সবচেয়ে প্রথম পছন্দ। মোটামুটি ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ১,০০০ টাকার মধ্যে আপনি এই ধরনের সুতির উপর কলমকারি প্রিন্টের শাড়ি পেয়ে যাবেন। বাড়িতে পরা থেকে শুরু করে, কোনও অনুষ্ঠানে সকালের দিকে পরে যাওয়া, এই ধরনের শাড়ির জবাব নেই।
ব্লাউজ : যেকোনো একরঙা শাড়ির সঙ্গে পরে নিন কলমকারির ডিজাইন করা ব্লাউজ। জিনসের সঙ্গে ক্রপড টপ হিসেবে পরে উপরে চাপিয়ে নিন একটা জ্যাকেট কিংবা শ্রাগ।
ওড়না : সাধারণ সালোয়ার-কামিজকে এক নিমেষে অসাধারণ করে তুলতে এই প্রিন্টের ওড়নার জুড়ি মেলা ভার। সুতির কিংবা সিল্কের কলমকারি ওড়নার মজা ও আভিজাত্যই আলাদা।
টপ ও কুর্তি : ডেনিমের সঙ্গেই বলুন কিংবা স্কার্টের সঙ্গে, অথবা সালোয়ার দিয়ে এই প্রিন্টেড টপ কিংবা কুর্তির কম্বিনেশন দারুণ লাগে। এই প্রিন্টের পোশাক পরলে কখনও বেমানান লাগবে না।
স্কার্ট : এই প্রিন্টের লং স্কার্টের মজাটাই আলাদা। উপরে পরে ফেলুন সাদা শার্ট, হাতে একগুচ্ছ নানা রংয়ের চুড়ি, ব্যস, ফিউশন লুক তৈরি হয়ে যাবে। কিংবা লং একরঙা কুর্তির সঙ্গে কলমকারি স্কার্টও পরতে পারেন। তাতেও একইরকম সুন্দর লাগবে।
নয়া শতাব্দী/এসএম/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ