নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
দক্ষিণ এশিয়ার বয়নশিল্পের ঐতিহ্য প্রায় চার হাজার বছরের। সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার বাংলা ব-দ্বীপ তুলার চাষ ও উৎপাদন, বিভিন্ন রকম অসাধারণ মসৃণ কাপড়ের জন্য বিশেষ জায়গা দখল করে আসছে। উপমহাদেশের ব-দ্বীপ অঞ্চলের মধ্যে বৃহত্তর ঢাকা প্রাচীনকাল থেকে মসলিনের উৎপাদন ও বাণিজ্যের জন্য অন্যতম। আর বাংলার লোকশিল্প পরিমণ্ডলে বস্ত্র জগতে মসলিনের পরেই হলো জামদানি।
বুনন তাঁতে বুটি তোলা মসলিনের নাম জামদানি। আভিধানিক অর্থে জাম মানে একপ্রকার মদ এবং দানি মানে পেয়ালা। বঙ্গানুবাদ মদের পেয়ালা হলেও জামদানি শব্দটি ফরাসি শব্দ থেকে এসেছে। ফারসি শব্দ জামা অর্থ কাপড় এবং দানি অর্থে বুটিদার, যার অর্থ দাঁড়ায় বুটিদার কাপড়।
মূলত বুটিতোলা মসলিনের নতুন এক পরিবর্তিত রূপ হিসেবে জামদানি নামকরণ হয়েছে। তুলা থেকে সুতা তৈরি করে ও সেই সুতাকে নানারকম ভাবে ভিজিয়ে, শুকিয়ে, মাড় দেওয়ার পর উপযোগী করা হয়। এরপর কাপড় তৈরি করা হয়। এরপর অন্যান্য প্রক্রিয়ায় কাপড়কে মসৃণ করা ইত্যাদি সবকিছু মসলিন শাড়ি তৈরির মূল পদ্ধতিগুলো জামদানি বস্ত্রে প্রক্রিয়াকরণে চলমান ছিল। তাই এ বস্ত্র সেসময়ে অনায়াসে মসলিনের বিকল্প হিসেবে বিবেচিত ছিল। জামদানির নকশা বুট তাঁতে রেখেই তোলা হয়।
মসলিন শিল্প বিলুপ্ত হয়ে গেলেও লোকশিল্প জগতে জামদানি বস্ত্র এখনও একটি শৌখিনতার প্রতীক হিসেবে রয়ে গেছে। আর এখনও জামদানি তৈরির কলাকৌশল শুধু ঢাকার কারিগরদের মধ্যে আয়ত্বাধীন।
নয়া শতাব্দি/এসএম/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ