ঢাকা, রোববার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫

টানেল বিষয়ে ইসরায়েলের দাবি যেভাবে মিথ্যা প্রমাণ করছে হামাস

প্রকাশনার সময়: ২০ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৩৯

গাজা উপত্যকায় আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে টানেলের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল যে দাবি করেছে সেটিকে ‘ডাহা মিথ্যা’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মুনির আল-বুর্শ।

তিনি বলেছেন, “ইসরায়েলি সেনারা গত আট দিন ধরে হাসপাতালটিতে অবস্থান করলেও এখন পর্যন্ত কিছুই খুঁজে পায়নি।”

চলমান গাজা যুদ্ধেরও বহু আগে থেকে ইসরায়েল সরকার দাবি করে আসছিল, উপত্যকার আল-শিফা হাসপাতালের নিচে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের কমান্ড সেন্টার ও টানেল রয়েছে। তবে হামাস এ দাবি বরাবরই প্রত্যাখ্যান করে এসেছে।

ইসরায়েলি সেনারা গত ১২ নভেম্বর সমস্ত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে শিফা হাসপাতালে আগ্রাসন চালিয়ে এটি দখল করে নেয়। ফল তাদের সামনে তাদের আগের দাবিগুলোর সত্যতা প্রমাণ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়। তাদের আগের দাবি প্রমাণ করার জন্য আন্তর্জাতিকভাবেও তারা প্রচণ্ড চাপের মুখে পড়ে।

কিন্তু ইসরায়েলিদের পক্ষে সেসব দাবি প্রমাণ করা সম্ভব হয়নি। তবে রবিবার ইসরায়েলি সেনারা দু’টি আলাদা ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে দাবি করে, তারা হাসপাতালে একটি টানেল খুঁজে পেয়েছে। ফুটেজে যে টানেলটি দেখানো হয়, তার অপর মুখ বন্ধ পাওয়া যায় এবং তার ভেতরে কোনো হামাস যোদ্ধা কিংবা কোনো বন্দিকে দেখা যায়নি।

সেইসঙ্গে তারা অপর ভিডিওতে দাবি করে, গত ৭ অক্টোবর হামাস তাদের হাতে আটক দু’জন বন্দিকে এই হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল; কাজেই তাদের দাবি অনুযায়ী, এই সংগঠন যে হাসপাতালকে তাদের সামরিক কাজে ব্যবহার করে তা প্রমাণিত হয়েছে।

দখলদার সেনাদের এসব দাবির জবাব দিয়েছে হামাস। সংগঠনটি তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলি সেনারা টানেল খুঁজে পাওয়ার যে দাবি করেছে সেটি হাসপাতালের ভেতরে নয় বরং হাসপাতাল থেকে বেশ খানিকটা দূরে অবস্থিত একটি গর্ত। ভিডিওটিতে একটি পানির কূপ ও আরেকটি টানেলের ভিডিও জোড়া লাগিয়ে প্রদর্শন করা হয়েছে বলে হামাসের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

পক্ষান্তরে দুই বন্দিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে হামাস বলেছে, তারা শুরু থেকে বলে এসেছে যে, ৭ অক্টোবরের অভিযানের দিন তাদের হাতে আটক ইসরায়েলি বন্দিদের মধ্যে যারা আহত ও অসুস্থ ছিল তাদেরকে গাজার হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সেবা দিয়েছে। এরপর সুস্থ হলে তাদেরকে গোপন ও নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কাজেই হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ করা যে ভিডিও ইসরায়েলিরা দেখিয়েছে তাতে হামাসের কোনো গোপন তৎপরতা ধরা পড়েনি। সূত্র: আল জাজিরা, দ্য গার্ডিয়ান, সিএনএন।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ