নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
তিন বছর কারাবাসের পর মুক্তি পেলেন মেক্সিকোর কুখ্যাত ‘মাদক সম্রাট’ জোয়াকিন গুজম্যানের স্ত্রী এমা কোরোনেল। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনি।
১৯৫৭ সালের মেক্সিকোর সিনালোয়ায় জন্ম জোয়াকিন গুজ়ম্যানের। এল চ্যাপো নামেই বেশি পরিচিত তিনি। বাবার হাত ধরেই মাদক দুনিয়ায় পা রাখেনতিনি। তার পর ওতপ্রোতভাবে অন্ধকার দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন এল চ্যাপো।
স্বামী জোয়াকিন গুজ়ম্যান হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ভোগ করছেন। তবে মাত্র তিন বছর কারাবাসের পর যুক্তরাষ্ট্রের কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছেন এমা কোরোনেল।
আইনজীবীর দাবি, জেলের ছোট ঘরে থাকতে কষ্ট হত এমার। তাই দিনে ২২ ঘণ্টা শুধুমাত্র বই পড়ে সময় কাটাতেন এমা।
১৯৮৯ সালে সান ফ্রান্সিসকোর দুরাঙ্গো গ্রামে জন্ম এমার। ছোট থেকেই মডেলিংয়ের প্রতি ঝোঁক ছিল তার। ২০০৭ সালে একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন তিনি। সেখানেই এল চ্যাপোর সঙ্গে প্রথম আলাপ হয় তার। প্রথম দেখাতেই বিয়ের কথা সেরে ফেলেন এমা এবং চ্যাপো। বিয়ের চার বছর পর ২০১১ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার এক হাসপাতালে যমজ কন্যাসন্তানের জন্ম দেন এমা। ২০০১ সাল থেকে পলাতক থাকা অবস্থায় এল চ্যাপোর সন্ধানে মোটা টাকা উপহার ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তাই এমার কন্যাদের জন্ম নিবন্ধন থেকে এল চ্যাপোর নাম সরিয়ে দেওয়া হয়।
১৯৯৩ সালে চ্যাপোকে প্রথমবার গ্রেফতার করা হয়। মাদক পাচার এবং খুনের অভিযোগে তার ২০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। জেলে থাকার সময় ২০০১ সালে কারারক্ষীদের ঘুষ দিয়ে পালিয়ে যান তিনি। ২০১৪ সালে আবার গ্রেফতার করা হয় এল চ্যাপোকে। ২০১৫ সালে সাজা ঘোষণার আগে আবার জেল থেকে পালিয়ে যান তিনি। ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে এল চ্যাপোকে আবার গ্রেফতার করার এক বছর পর আমেরিকায় প্রত্যার্পণ করা হয়। ২০১৯ সালে দোষী সাব্যস্ত হলে এল চ্যাপোকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়।
২০১৪ সালে এল চ্যাপো যখন বন্দি ছিলেন, সেই সময় দলের সঙ্গে তার লোকজনের যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে কাজ করতেন এমা। এমা নিজেও মাদক পাচার এবং বেআইনি পথে অর্থ পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০২১ সালে তার তিন বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ