নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
অর্থনৈতিক মন্দায় পড়েছে বিশ্বের চতুর্থ অর্থনীতির দেশ জার্মানি। দেশটিতে বেড়েছে জ্বালানি মূল্য। এর ফলে কমে গেছে ক্রেতা। যার প্রভাব পড়েছে উৎপাদনে। এছাড়া ইউক্রেনে চলা রুশ হামলাকেও এ মন্দার কারণ হিসেবে দায়ী করা হচ্ছে। এর প্রভাব বিশ্বের একাধিক দেশেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জার্মানির সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসে জার্মান অর্থনীতি ০.৩ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। এর আগে ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরে অর্থনীতি ০.৫ শতাংশ সংকুচিত হয়েছিল।
অর্থনীতির ভাষায়, কোনো দেশের অর্থনীতি পর পর দুই ত্রৈমাসিকে হ্রাস পেলে তাকে আর্থিক মন্দা বলে ধরে নিতে হবে। সেই হিসেবেই এবার আর্থিক সংকটের মুখে জার্মানি।
সাধারণত কোনো দেশে মন্দা দেখা দিলে ধরে নিতে হবে সেই দেশের আর্থিক উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। এতে দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতি, মূল্যবৃদ্ধি, বৃদ্ধি পায় বেকারত্ব, হ্রাস পায় জনগণের ক্রয়ক্ষমতা।
বিশেষজ্ঞদের অনুমান, জার্মানিতেও এমন কিছু ঘটতে পারে। সেজন্য অনেকেই সামগ্রিকভাবে দায়ী করছে ইউক্রেনে চলা রুশ হামলাকে। এতে ব্যাপকভাবে বেড়েছে তেল ও গ্যাসের চাহিদা, কিন্তু ঘাটতি মেটাতে গেলে রাশিয়ার মুখাপেক্ষী হয়ে থাকা ছাড়া উপায় নেই।
এপ্রিল মাসের হিসেবে জার্মানির মুদ্রাস্ফীতির হার দাঁড়িয়ে রয়েছে ৭.২ শতাংশে। যা ইউরো অঞ্চলের গড়ের চাইতে অনেকটাই বেশি।
জার্মান ফেডারেল স্ট্যাটিস্টিক্স এজেন্সি জানিয়েছে, মূল্যবৃদ্ধির কারণে গৃহস্থের নিত্যদিনের খরচ অনেকটাই কমেছে, বিশেষ করে খাবার, পোশাক, আসবাব এই সবকিছুতেই খরচ একধাক্কায় অনেকটা কমাতে বাধ্য হয়েছেন জার্মানরা। প্রভাব এসে পড়েছে অর্থনীতিতে। মূলত গ্যাসের ব্যাপক চাহিদা বাড়ায় তার উপযুক্ত যোগান দিতে না পারার কারণেই একের পর এক পণ্যে মূল্যবৃদ্ধি হয়ে চলেছে।
জার্মানির কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, এতে চিন্তার কোনো কারণ নেই। বিনিয়োগ ও মূলধনের ব্যবসায় লাভ যথেষ্ট রয়েছে, বিনিয়োগ বৃদ্ধিও পেয়েছে। মন্দায় যে বিপজ্জনক জায়গার কথা বলা হয়, জার্মানি এখনও সেই সীমানার নিচেই রয়েছে। জুনের পরেই অর্থনীতি বৃদ্ধির মুখ দেখতে পারে জার্মানি।
নয়া শতাব্দী/এসআর/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ