নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
ভারতশাসিত কাশ্মীরে জি-২০ বৈঠক বয়কট করেছে ৪টি দেশ। বয়কট করা দেশগুলোকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে পাকিস্তান। এই ঘটনাকে পাকিস্তানের কূটনৈতিক বিজয় বলেও মনে করছেন দেশটির অনেকে।
বুধবার (২৪ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে এবং দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।
চলতি বছর জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতি দেশ হচ্ছে ভারত। এ কারণে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে জি-২০ প্রস্তুতি বৈঠক। জি-২০ গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিরা তাতে অংশ নিচ্ছেন।
আগামী সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্বনেতারা বৈঠকে যোগ দিতে ভারতে যাবেন। কিন্তু তার আগেই তৈরি হলো নতুন বিতর্ক। বিতর্কিত কাশ্মীর অঞ্চলে আয়োজিত বৈঠকে যোগ দিতে অস্বীকার করেছে মোট ৪টি দেশ। চীন আগেই জানিয়েছিল কাশ্মীরে আয়োজিত কোনো বৈঠকে তারা অংশ নেবে না। শেষ মুহূর্তে নিজেদের প্রতিনিধিও সরিয়ে নেয় বেইজিং। এর আগে অরুণাচলের বৈঠকে যোগ দেওয়া নিয়েও আপত্তি জানিয়েছিল চীন। এরপর একে একে আরও তিনটি দেশ কাশ্মীরের বৈঠকে যোগ দিতে অস্বীকার করে।
গত ২২ থেকে থেকে ২৪ মে পর্যন্ত জি-২০ প্রস্তুতি বৈঠকের আয়োজন হয় কাশ্মীরের শ্রীনগরে। চীনের পর তুরস্কও জানায় তারা এই বৈঠকে যোগ দেবে না। এরপর সৌদি আরব এবং মিশরও কাশ্মীরের সম্মেলনে যোগ দিতে অস্বীকার করে।
এ বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশ্ন করা হলে ভারতীয় প্রতিনিধি মেজাজ হারান বলেও অভিযোগ উঠেছে। এক ফরাসি সাংবাদিক এ বিষয়ে ভারতীয় প্রতিনিধিকে প্রশ্ন করেছিলেন। মূলত পর্যটন নিয়েই বৈঠক হয়েছে শ্রীনগরে। শেষপর্যন্ত ১৬টি দেশের ৬০ জন প্রতিনিধি সম্মেলনে যোগ দেন। চারটি দেশের একজন প্রতিনিধিও এতে অংশ নেননি।
এদিকে ভারতশাসিত কাশ্মীরে আয়োজিত জি-২০ বৈঠক বয়কট করায় চীন, সৌদি আরব ও তুরস্কের প্রতি কৃতজ্ঞতা শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। একইসঙ্গে কাশ্মীরি জনগণের স্বার্থে নরেন্দ্র মোদি এবং জি-২০-এর আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করায় চীনা, সৌদি এবং তুর্কি ভাইদের অভিনন্দনও জানিয়েছেন তিনি।
নয়া শতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ