বিয়ে বাড়িতে সানাই বাজছে, নিমন্ত্রিত অতিথিদের আনাগোনা চলছে। ঠিক সেই সময়ই কনে তার বন্ধুদের পাশে নিয়ে হঠাৎ করেই বিয়ের আসরে ‘চিৎকার’ করে স্লোগান দিয়ে উঠলেন।

বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে কনে অভয়া রায় বলছেন, ‘নিয়োগ চাই নিয়োগ চাই, আমাদের বঞ্চনা মানছি না মানব না। বিয়ের আসর থেকে দিচ্ছি ডাক, বঞ্চিতরা চাকরি পাক।’

বিয়ের আসরে কীসের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন তা জানতে তখন উৎসুক সকলেই।

অভয়া রায়ের কথায় জানা গেল, ২০১৪ সাল থেকে টেট উত্তীর্ণ হয়েও আজকে তারা বেকার। ২০২০ সালে মুখ্যমন্ত্রী চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিলেও সেই চাকরি এখনও পায়নি। অথচ অযোগ্যরা চাকরি পেয়েছে আর যোগ্যরা আজও আন্দোলনে রয়েছে। আর এই দুঃখ ভুলতে না পেরেই তারা এই অভিনব পদ্ধতিতে প্রতিবাদ করেছেন।

আন্দোলনকারীরা বলছেন, ‘বিয়ে একটা সামাজিক অনুষ্ঠান। কিন্তু যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও চাকরি না পাওয়ার বেদনা সর্বক্ষণ আমাদের তাড়া করে বেড়াচ্ছে। বিয়ের আসরেও এই বঞ্চনার কথা ভোলা যাচ্ছে না। আমরা সব দিক দিয়েই সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছি। সেজন্যই বিয়ের আসরে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছি আমরা।’

৬ মে ভাতারের ছাতনির বাসিন্দা রিন্টু দের সঙ্গে বিয়ে হয় ভাতারের খেজুরের বাসিন্দা অভয়া রায়ের। আর সেই বিয়ের আসরেই ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার্থী অভয়া রায় স্লোগান তোলেন নিয়োগ চাই। তার সঙ্গে ছিলেন বীরভূম, উত্তর চব্বিশ পরগনা, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া থেকে আসা আন্দোলনরত তার সহকর্মীরা।

উল্লেখ্য, কলকাতায় এক টানা অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরি প্রার্থীরা। সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এখনও সমাধান মেলেনি। সূত্র : News 18 bangla

নয়াশতাব্দী/এসএম/আরআর