নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
প্রচলিত আছে বৃষ্টির পানিতে ভিজলে বা গোসল করলে ঘামাচি দূর হয়। গ্রামগঞ্জে অনেকেই আছেন যারা ঘামাচি হলে বাচ্চাদের বৃষ্টিতে নামিয়ে দেন। প্রচলিত এই ধারণা কি আদৌ সঠিক? এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে কিনা তা হয়তো অনেকেই জানেন না।
ঘামাচি মূলত অতিরিক্ত ঘামে ঘামগ্রন্থিগুলো বন্ধ হয়ে গেলে হয়। আর বৃষ্টির পানিতে ভিজলে শরীরের টক্সিক উপাদানগুলো বের হয়ে যায়। যা অনেকটা ঘামাচি রোধে সহায়তা করে। ঢাকা মেডিকেলের এক চিকিৎসক জানান, বৃষ্টির পানির তাপমাত্রা কম থাকার কারণেই এই পানিতে ভিজলে ঘামাচির যন্ত্রণার খানিকটা লাঘব হয়। তবে বৃষ্টির পানি মাটিতে পরার সঙ্গে সঙ্গে দূষিত পদার্থ, ব্যাকটেরিয়া বের হয়ে আসতে থাকে। এগুলো আমাদের ত্বকের সংস্পর্শে এলে এলার্জি ও ঘামাচি বেড়ে যেতে পারে।
বৃষ্টির পানিতে ভিজবেন কি ভিজবেন না; এই দ্বিধাদ্বন্ধে থাকলে বাড়িতে যেভাবে ঘামাচির সমাধান করতে পারেন-
পানির ধারা
ঘামাচির যন্ত্রণায় যারা ভুগছেন, তারা সুযোগ পেলে যেমন বৃষ্টিতে ভিজতে পারেন, তেমনি ঘরেও শীতল পানির ধারায় গা জুড়াতে পারেন। বরফগলা পানি, বরফ মেশানো পানি কিংবা ঠান্ডা পানিতে গোসল করা যেতে পারে। বারবার গোসল করা সম্ভব না হলে আক্রান্ত স্থানে বারবার ঠান্ডা পানি ঢালতে পারেন। এ ছাড়া কাজে লাগাতে পারেন মাটির পাত্রের পানি। মাটির কলসে বা অন্য পাত্রে পানি রাখা হলে বেশ ঠান্ডা থাকে। এই পানিতেও গোসল করা যেতে পারে।
কাপড় ভিজিয়ে ব্যবহার
কাপড়কে ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে সেটি দিয়ে শরীর মোছা যেতে পারে।
বরফ ব্যবহার করে
পাতলা সুতি কাপড়ে বরফ জড়িয়ে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে আলতোভাবে স্পর্শ করা যেতে পারে।
পাউডার
বাজারে নানা ধরনের ঘামাচি পাউডার পাওয়া যায়। ‘প্রিকলি হিট’ উল্লিখিত কিছু কিছু পাউডার ঘামাচির সমস্যায় খানিকটা কার্যকর হলেও এগুলো কিন্তু ঘামাচি সমস্যার সমাধান নয়। ঘামাচি প্রতিকারে চাই শীতল পরশ। মুলতানি মাটি
ঘামাচির সমস্যায় মুলতানি মাটি ব্যবহার করে দেখুন উপকার পাবেন। ৪ চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে কয়েক ১ চামচ গোলাপজল আর আধা কাপ পানি দিয়ে প্রথমে পেস্ট তৈরি করুন। এ বার ওই পেস্ট ত্বকের ঘামাচি আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে দিনে অন্তত ২ বার ত্বকের যত্ন নিতে পারলে ঘামাচি সহজেই কমে যাবে। সেইসঙ্গে কমে যাবে অস্বস্তিকর চুলকানিও।
ঘামাচি প্রতিকার এবং প্রতিরোধের জন্য দৈনন্দিন জীবনযাত্রার কিছু দিক খেয়াল রাখা বাঞ্ছনীয়।
নয়া শতাব্দী/এসএম/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ