ঢাকা, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩, ১৯ আশ্বিন ১৪৩০, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

স্ত্রীকে যেসব কথা কখনোই বলবেন না

প্রকাশনার সময়: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৭:৫০

দাম্পত্য জীবন সুখী হওয়ার বড় মাধ্যম পারস্পরিক ভালোবাসা, বিশ্বাস, ছাড় ও সম্মান। এ ছাড়া দাম্পত্য জীবন আনন্দদায়ক হতে পারে না। সংসারও টিকতে পারে না। বিশেষ করে স্ত্রীকে অসম্মান জানিয়ে কোনো কথা বলা যাবে না। স্ত্রীকে অপমান করা যাবে না। আপনার কোনো কথায় যদি স্ত্রী অপমান বোধ করে তাহলে সংসার টিকিয়ে রাখা বেশ মুশকিলের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। মনে রাখতে হবে, ঠাট্ট্রা করেও স্ত্রীকে কিছু কথা বলা যাবে না। সেগুলো এখানে উল্লেখ করা হলো-

বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাও

অনেকেই রাগের মাথায় স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। এমনটা কখনোই বলবেন না। কারণ একজন নারী একসঙ্গে সংসার করার জন্যই নিজের পরিবারকে ছেড়ে আসে। নতুন একটি জীবনের স্বপ্ন দেখে। নিজের মধ্যে অনেক পরিবর্তন নিয়ে আসে। তাই তার ওপর রাগ করে বাড়ি ছাড়তে বলবেন না। কারণ বাড়ি ও সংসার আপনাদের দুজনেরই।

তোমার বাবার মতো খারাপ লোক নেই​

নারীদের কাছে তাদের বাবারা হলেন সুপারহিরো। তাই তাদের নিয়ে কথা বলার আগে সচেতন হন। এমনকি মজা করেও তাদের নামে খারাপ কথা বলতে যাবেন না। এই কাজটা করলেই কিন্তু ফেঁসে যাবেন। আপনার কথা স্ত্রীর বুকে গিয়ে পুরো শেলের মতো বিঁধবে। তখন ঠেলা সামলাতে পারবেন না। তাই আজ থেকে নিজের মুখে লাগাম পরানোর চেষ্টা করুন।

তুমি মোটা হয়ে যাচ্ছ​

মজা করেও স্ত্রীকে মোটা বলবেন না। এটা একধরনের বডি শেমিং। আর বডি শেমিং সব সময়ই নিন্দনীয়। সে যতই আপনি নিজের স্ত্রীকে বলুন না কেন। আর মনে রাখবেন, স্বামীর মুখে এহেন নিন্দাবাক্য শোনার পর স্ত্রীর মন থেকে ভালোবাসার প্রতিও বিশ্বাস উঠে যায়।

তুমি বেশি বোঝো​

মজার ছলে স্ত্রীকে সব বোদ্ধা বললেও কিন্তু মহা ফাঁসা ফেঁসে যাবেন। এই কথাটা বলার পরই দেখবেন স্ত্রীর মুখ ভার হয়ে গিয়েছে। তিনি আর আপনার সঙ্গে একটা কথাও বলবেন না। এমনকি আপনার সঙ্গে এক ছাদের তলায় থাকতেও তিনি নারাজ হতে পারেন। তাই তো স্ত্রী সব বিষয়ে কথা বললেও, তাকে কটাক্ষ করতে যাবেন না। বরং চুপচাপ তার কথা শুনতে থাকুন। এতেই দাম্পত্যে স্থিতাবস্থা বজায় থাকবে।

আমার জীবন নষ্ট করে দিয়েছো

আপনার সঙ্গে জীবন কাটাতে এসে নিজের অনেক ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষার কথা হয়তো ভুলে গেছেন আপনার স্ত্রী। আপনাকে ভালো রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাই তাকে কখনো বলবেন না যে সে আপনার জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। যদি কোনো বিষয়ে তার ওপর মনোক্ষুণ্ণ হন তবে ঠান্ডা মাথায় বসে তার সঙ্গে কথা বলুন। চেচামেচি কোনো সমাধান নয়। কারণ রাগের মাথায় মানুষ এমন অনেক ভুলভাল কথা বলে ফেলে, যার কারণে পরবর্তীতে সংসার টিকিয়ে রাখাই মুশকিল হয়ে যায়।

দুই পয়সা কামিয়ে দেখাও তো দেখি​

অনেক সময় স্বামীরা ঝোঁকের বশেই স্ত্রীকে এই কথাটা বলে দেন। হয়তো তারা কথাটা এভাবে বলতে চান না, তবে মুখ ফসকে বলে ফেলেন। আর তাতেই স্ত্রীর মনে তৈরি হয় ঘূর্ণিঝড়। আর এই ঝড়ের কবলে পড়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় সংসারের চেনা পরিসর। তাই আর যাই করুন না কেন, স্ত্রীর উপার্জন নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করা চলবে না। নইলে যে ফেঁসে যাবেন।

তোমার মতো অলস দেখিনি​

নারীরা অলস অপবাদ ঘুনাক্ষরেও শুনতে চান না। বিশেষত, স্বামীর মুখ থেকে এই শব্দটা শুনলে তারা বিশেষভাবে চটে যান। এমনকি তাদের গ্রাস করে হিনমন্যতা। তাই সংসারকে সুস্থভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে থাকলে স্ত্রীকে রসিকতার ছলেও এই কথা বলবেন না। নইলে যে বড় ফাঁসা ফেঁসে যেতে হবে। এমনকি শান্ত দাম্পত্যে হানা দিতে পারে জটিল সমস্যা। তাই সাবধান হন।

তোমাকে বিয়ে করে ভুল করেছি

বলার আগে চিন্তা করুন। কারণ কথা একবার বলে ফেললে তা ফিরিয়ে আনা মুশকিল হয়ে যায়। আপনি যখন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন, তখন নিশ্চয়ই বুঝেশুনে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন? তাহলে পরবর্তীতে স্ত্রীকে কখনো এই কথা বলবেন না যে, ‘তোমাকে বিয়ে করে ভুল করেছি’। কারণ বিয়ের সিদ্ধান্তটি যদি ভুলও হয়, তার দায়ভার আপনার স্ত্রীর নয়, আপনার। সেই দায় তার ওপর চাপাবেন না। স্বামীর কাছ থেকে এমন কথা শুনলে স্ত্রীর কষ্ট পাওয়া খুবই স্বাভাবিক।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ