ঢাকা, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩, ১৯ আশ্বিন ১৪৩০, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

ফরিদপুরে যা যা দেখবেন

প্রকাশনার সময়: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫:১৭ | আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫:২০

ধরুন কোনো একটা কাজে আপনাকে যেতে হয়েছে ফরিদপুরে। হাতে বেশ সময়ও আছে। আর এই সময়টাতে অযথা বসে না থেকে ঘুরে দেখতে পারেন ফরিদপুরের দর্শনীয় স্থানগুলো। আপনার সময়ও অতিবাহিত হবে আর ভ্রমণের তালিকায় নতুন স্থানও যুক্ত হবে।

জেনে নিন ফরিদপুরের কিছু দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে-

পল্লী কবি জসীমউদ্দীনের বাড়ি

ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলায় গোবিন্দপুর গ্রামে পল্লী কবি জসীমউদ্দিনের বাড়ি। কুমার নদীর পাশে কবির বাড়িতে রয়েছে পুরাতন ৪টি টিনের ঘর। বসত বাড়ির বিভিন্ন রুমে রয়েছে তার ব্যবহৃত নানান জিনিসপত্র। কবির বিভিন্ন লেখা বাড়ির চত্বরে প্রদর্শন করা আছে। নদীর সামনে বিশাল জায়গায় রয়েছে আগত দর্শনার্থীদের জন্যে বসার স্থা্ন। বাড়ির উত্তরে রাস্তার পাশে কবির কবরস্থান।

ছবি- পল্লী কবি জসীমউদ্দীনের বাড়ি

মধুমতি নদী

মধুমতি নদী বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ নদীগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মাগুরা, ফরিদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ ও বাগেরহাটের উপর দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা নদীর একটি শাখা। মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার নাকোল ইউনিয়নে প্রবহমান গড়াই নদী হতে সৃষ্টি হয়ে মাগুরা-ফরিদপুর জেলার সীমানা ঘেঁষে প্রবাহিত হয়ে মধুমতি নামে নড়াইল ও খুলনা জেলার আঠারবেকিতে বাগেরহাট জেলায় প্রবেশ করে বরিশালের হয়ে হরিণঘাটা মোহনার কাছে বঙ্গোপসাগরের সাথে মিলিত হয়েছে।

শুষ্ক মৌসুমে সবুজ বর্ণের মধুমতি নদীর পানির প্রবাহ কমে গেলেও বর্ষাকালে পানি নদীর দু’কূল ছাপিয়ে যায়। একসময়, সুন্দরবন অঞ্চল থেকে বাওয়ালীরা এই নদী দিয়ে মধু সংগ্রহ করে বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করত। আর তাই স্থানীয় অনেকের মতে, নদীর সুমিষ্ট জল বা মধু বহনকারী এই নদীর নাম দেওয়া হয়েছে মধুমতি। নদীর তীরে কয়েশ বছরের প্রাচীন হাটবাজার, দালান কোঠা, মন্দির, মসজিদ ও জেলে পল্লীসহ অনেক জনপদ গড়ে উঠেছে। এছাড়াও মধুমতি নদীতে ইলিশ, বাচা, বাঘাইড়, চিতল, চিংড়ি, বেলে, আইড়, রুই ও কাতলসহ অনেক ধরণের সুস্বাদু মাছ পাওয়া যায়। আর নদীর তীরবর্তী অঞ্চল খুব উর্বর হওয়ার ধান পাটসহ বিভিন্ন অর্থকরী ফসল উৎপাদনের জন্য খুবই সহায়ক।

ছবি- মধুমতি নদী

কানাইপুর জমিদার বাড়ি ফরিদপুর জেলা শাসনকারী জমিদারদের আছে এক সমৃদ্ধ ইতিহাস। কানাইপুরের শিকদার বংশ তেমনি ফরিদপুরের বিখ্যাত জমিদারদের মধ্যে অন্যতম। প্রায় ৪০০ বছর আগে শিকদার বংশের জমিদার কুমার নদীর পাড়ে বসবাসের জন্য জমিদার বাড়ি নির্মাণ করেন, যা কানাইপুর জমিদার বাড়ি হিসাবে পরিচিত হয়ে উঠে। তবে ফরিদপুর জেলার স্থানীয় বাসিন্দারা একে শিকদার বাড়ি হিসেবেই চিনেন।

শিকাদার বংশের শিকদার ভবতারিনী জমিদার হিসেবে বেশ সুনাম ও সম্পদ অর্জন করেন। কিন্তু ভবতারিনীর একমাত্র পুত্র সতীশ চন্দ্র শিকদার মোটেও তাঁর মায়ের মত সুশাসক ছিলেন না। পরবর্তীকালে সতীশ চন্দ্র শিকদারের দুই পুত্র সুরেন্দ্র নাথ শিকদার এবং নিরদবরন শিকদারের মধ্যে জমিদারি ভাগ করে দেয়া হয়। বড় সন্তান হিসেবে সুরেন্দ্র নাথ জমিদারীর সিংহভাগ অংশের অধিকার লাভ করেন। সুরেন্দ্র নাথের মৃত্যুর পর তার পুত্রদের কোলকাতায় স্থানান্তর এবং অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে সরকার তাদের জমিদারি বাজেয়াপ্ত করে।

ছবি- কানাইপুর জমিদার বাড়ি

কিভাবে যাবেন ঢাকা থেকে বাসে সরাসরি ফরিদপুর যেতে চাইলে গাবতলী বাস স্ট্যান্ড হতে কমফোর্ট লাইন, এস আলম, সাকুরা, শ্যামলী বাসে যেতে পারবেন। নন-এসি এসব বাসের ভাড়া লাগবে ৩৫০-৫০০ টাকা।

কোথায় থাকবেন ফরিদপুর শহরে থাকার জন্যে মোটামুটি মানের বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল আছে। তার মধ্যে একটু বেশি বাজেটের জনতার মোড়ে হোটেল র‍্যাফেলস, কম বাজেটের মধ্যে ভাল হলো মুজিব সড়কের জেকে ইন্টারন্যাশনাল, পদ্মা হোটেল, হোটেল ঝিলভিউ ইত্যাদি।

নয়া শতাব্দী/এসএম/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ