নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
ম্যানগ্রোভ অরণ্যের মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য আচ্ছন্ন দুবলার চর। লাল বুক মাছরাঙা, মদনটাক পাখি, এছাড়া একঝাক সামুদ্রিক পাখির হুটোপুটি এই চরে অনায়াসেই দেখা যায়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি হল দুবলার চর। একবার হলেও এই সৌন্দর্য দেখে আসা উচিৎ।
যা যা দেখবেন
দুবলার চরের সকল পরিবারই মৎস্যজীবী তাই একে জেলে পল্লী বলা চলে। মাছ ধরার পাশাপাশি এখানে চলে শুঁটকি তৈরীর কাজ। বর্ষাকালে ইলিশ শিকারের জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বাগেরহাট, পিরোজপুর, সাতক্ষীরা এবং খুলনা থেকে দলবেঁধে জেলেরা দুবলার চরে এসে সাময়িক বসতি গড়ে তোলে। দুবলার চর থেকে শুঁটকি নিয়ে চট্টগ্রামের আসাদগঞ্জের পাইকারী বাজারে সংরক্ষণ এবং বিক্রয় করা হয়। সুন্দরবনের বাগেরহাটস্থ পূর্ব বিভাগের সদর দপ্তর থেকে মাছ সংগ্রহের অনুমতি নিয়েই শুধুমাত্র দুবলার চরে জেলেরা প্রবেশ করতে পারেন।
যেভাবে যাবেন
ঢাকার গাবতলী কিংবা সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে বাসে সহজেই বাগেরহাট আসতে পারবেন। এরপর বাগেরহাটের মংলা বন্দর থেকে দুবলার চরে যাবার নৌযান ভাড়া করতে পারবেন। তবে সায়দাবাদ বা গাবতলী বাস স্ট্যান্ড থেকে সরাসরি মংলা যাওয়ার বাসে যাওয়া শ্রেয়।সাধারণত দুবলার চরে যাওয়ার জন্যে যে ট্রলার বা ট্যুরিস্ট ভ্যাসেল ভাড়া করা হয় সেখানেই রাতে থাকা ও খাওয়া দাওয়ার সুবিধা ও অন্যসব সবকিছুর ব্যবস্থা থাকে।
যেখানে থাকবেন ট্যুরিস্ট লঞ্চ ছাড়াও হিরণপয়েন্টের নীলকমল, টাইগার পয়েন্টের কচিখালী এবং কাটকায় বন বিভাগের রেস্ট হাউজে রাত্রিযাপন করতে পারবেন।
নয়া শতাব্দী/এসএম/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ