নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
হাতে সময় নেই, আবার পকেটে টাকাও কিছুটা কম। কিন্তু প্রকৃতির কাছে ধরা দিতে ব্যকুল আপনার মন। এ অবস্থায় ঝটপট ব্যাকপ্যাক গুছিয়ে চলে যান গুলিয়াখালী সৈকত। থাকার ঝামেলা নেই, আর আগে থেকে বুকিং দিতে হয় না বলে যখন তখন ঘুরতে যেতে পারেন এখানে। সবুজের মাঝে নিরিবিলি পরিবেশে নিজেকে হারাতে সীতাকুণ্ডের বাস ধরে কম খরচেই যেতে পারেন সেখানে। আগের দিন রাতে বাসে উঠে পরদিন সারাদিন ঘুরে সন্ধ্যার পর বাসে উঠলেই সকালে অফিস ধরতে পারেন। মাঝে একদিন ছুটি নিতে হবে বা সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যেই যেতে পারেন সেখানে।
যা দেখবেন
কেওড়া বনের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট ছোট খালের চারদিকে উঁকি দিয়ে আছে কেওড়ার শ্বাসমূল। সবুজ গালিচার বিস্তৃত ঘাস এই সৈকতকে দিয়েছে ভিন্নতা।
সাগরের পাশে সবুজ ঘাসের উন্মুক্ত প্রান্তর চোখ জুড়াবেই। সৈকতের পাশে সবুজ ঘাসের এই মাঠে প্রাকৃতিকভাবেই জেগে উঠেছে আঁকাবাঁকা নালা।সাগরের গর্জন না থাকলেও এই নিরবিলি পরিবেশে গুলিয়াখালী সৈকত আপনার ভালো লাগবে।
যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী যেকোনো বাসে যেতে হবে সীতাকুণ্ড। মেইল ট্রেনেও যাওয়া যায়। এক্ষেত্রে আন্তঃনগর ট্রেনে গেলে ফেনী স্টেশন অথবা চট্টগ্রাম স্টেশনে নামতে হবে। কারণ আন্তঃনগর ট্রেনগুলো সীতাকুণ্ড স্টেশনে দাঁড়ায় না। ফেনী থেকে লোকাল বাসে সীতাকুণ্ড এবং চট্টগ্রাম থেকেও লোকাল বাসে সীতাকুণ্ড আসা যায়।
সীতাকুণ্ড বাজার থেকে সরাসরি সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে যেতে হবে গুলিয়াখালী সৈকতের বাঁধ পর্যন্ত। রিজার্ভ ভাড়া নিলে ১৫০-২৫০ টাকা খরচ হবে। তবে অবশ্যই দরদাম করে নেওয়া ভালো।
সৈকত থেকে সীতাকুণ্ড ফিরে আসার জন্য আগে থেকে অটোরিকশাচালকের নম্বর নিয়ে রাখতে পারেন অথবা যাওয়া-আসাসহ রিজার্ভ করে নিতে পারেন। এ ছাড়া লোকাল সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যাওয়া-আসা করা যেতে পারে।
নয়া শতাব্দী/এসএম/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ