নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
বর্তমান সময়ে গৃহসজ্জার জনপ্রিয় প্ল্যান্ট হলো লাকি ব্যাম্বু। দেখতে বাঁশ গাছের কাণ্ডের মতো হলেই এই গাছ সাধারণত বনসাই হয়। এই গাছ পানিতে ও মাটিতে দুই জায়গায় লাগানো যায়। যত্ন খুব একটা নিতে হয় না বলে অনেকেই এই গাছ গৃহের সৌন্দর্য বাড়াতে ব্যবহার করে। কিন্তু তারপরও এই গাছের সামান্য যত্ন নিতে হয়। নাহলে খুব বেশি দিন বাঁচিয়ে রাখা যায় না। লাকি ব্যাম্বু গাছের যত্ন নেবেন যেভাবে-
আলো
লাকি ব্যাম্বুর জন্য প্রয়োজন অল্প আলো। কম থেকে মাঝারি আলোয় ভালো থাকে এই গাছ। তাই বারান্দায়, জানালার ধারে, যেখানে সরাসরি সূর্যের আলো এসে পড়ে, সেখানে গাছ রাখা উচিত নয়।
পানি
সাধারণত বাড়িতে টবের মধ্যে পানি ঢেলেই লাকি ব্যাম্বু রাখা হয়। সে ক্ষেত্রে পানির দিকেও খেয়াল রাখুন। পানি যদি কালচে হয়ে যায় কিংবা তাতে কিছু ভাসমান অবস্থায় থাকে, তাহলে অবশ্যই পানি বদলান। অনেক সময়েই লাকি ব্যাম্বুর পানিতে অ্যালগি জন্মায়। আবার শুধু পানিই নয়; টবের গা ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে, যাতে তার গায়ে কোনও অ্যালগি বাসা না বাঁধে। প্রয়োজনে দু’সপ্তাহে এক বার করে পানি বদলে টব পরিষ্কার করুন। অনেকে চওড়া পাত্রে বেশ কয়েকটি নুড়ি-পাথরের মাঝে সামান্য পানি দিয়েও গাছ রাখেন। সে ক্ষেত্রে পাথরও পরিষ্কার করুন।
পাতা
অনেক সময়েই গাছের পাতার ডগা হলদেটে হতে শুরু করে। পাতা শুকিয়ে যাওয়া, নুইয়ে পড়ার লক্ষণও দেখা যায়। আসলে জলে অতিরিক্ত লবণ কিংবা আয়রণের মাত্রা থাকলে এই ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। তাহলে যেমন নিয়মিত পানি পরিষ্কার করা দরকার, তেমনই সাধারণ ট্যাপের পানির পরিবর্তে পরিশ্রুত পানিও ব্যবহার করতে পারেন। হলদেটে পাতার অংশ ছেঁটে ফেলতে পারেন।
মাটি
পানির পাশাপাশি মাটিতেও অনেকে এই গাছ লাগান। সে ক্ষেত্রে পানি দেওয়ার সময়ে খেয়াল রাখুন, মাটি যেন পানিতে একেবারে ভেজা না থাকে। মাটির উপরিভাগ শুকিয়ে এলে তবেই পানি দিন।
পাত্র
গাছটিকে কাঁচের পাত্রে রাখবেন। কোনোরকমের প্লাস্টিকজাতীয় পাত্রে রাখবেন না।
ছাঁটাই
পুরাতন ডালপালাগুলো ছাঁটাই করতে হবে।
সার
গাছটির একটি সার পাওয়া যায় নার্সারিতে বা কোনো গাছের দোকানে। খুব অল্প পরিমাণে পানির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হয়। দুই থেকে তিন মাস পরে পরে অল্প পরিমাণে দিতে হবে।
নয়া শতাব্দী/এসএম/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ