নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
বিভিন্ন কাজের প্রেসারে যখন মাইন্ড ফ্রেশ করার প্রয়োজন হয়, তখন একটা রিল্যাক্স ট্যুর দিতে ইচ্ছে করে। শহরের বাইরে গিয়ে সময় কাটাতে ইচ্ছে করে। আর এজন্য অনেকেই কক্সবাজার চলে যান। সাগরের সান্নিধ্যে মন প্রফুল্ল হয়। কিন্তু কক্সবাজারে যাওয়া আসা কিন্তু ব্যয়বহুল। তবে যদি একটু বুদ্ধি করে প্ল্যান করা যায়, তবে কম খরচেই যেতে পারেন কক্সবাজারে।
কক্সবাজারে যেভাবে বাজেট ফ্রেন্ডলি ট্যুর দিবেন
১. ছুটির দিনে ঘুরতে যাবেন না। তখন কক্সবাজারে পর্যটকের সংখ্যা বেড়ে যায়। এ সময় হোটেল ভাড়া থেকে শুরু করে সব কিছুর দাম বেড়ে যায়।
২. বাজেট ট্রিপে যতটা সম্ভব ব্যাগ বা লাগেজ কম রাখুন। কম খরচে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে কোথাও গেলে সঙ্গে রাখুন একটি ব্যাগপ্যাক। যা পিঠে ঝুলিয়ে হাঁটতেও পারবেন আবার প্রয়োজনে দৌড়াতেও পারবেন।
৩. চেষ্টা করুন রাতে গাড়িতে আসা-যাওয়া করার। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেই সরাসরি কক্সবাজারের বাস পাবেন। আসা-যাওয়া দুই রাত বাসে থাকলে দু’দিনের থাকার খরচ কমে যাবে।
৪. নিজেই হোটেল খুঁজে বের করুন। অনেক সময় বাস থেকে নামার পর সিএনজি বা রিক্সাওয়ালাদের দেখানো হোটেলে থাকবেন না। এরা সাধারণত বড় অংকের কমিশনের বিনিময়ে হোটেল ঠিক করে দেয়। তাই এদের কথা না শুনে প্রয়োজনে পায়ে হেঁটে হোটেল খুঁজে বের করুন।
৫. গলির মধ্যে হোটেলের সন্ধান করুন। কক্সবাজারে বিচের যত কাছে থাকবেন ততই ভাড়া বাড়বে। যেহেতু আপনি বিচেই ঘুরবেন, তাই বেশি ভাড়া দিয়ে সমুদ্রের পাশে থাকার প্রয়োজন নেই।
৬. ইজিবাইক ও অটো ব্যবহার করুন। ইনানি বা হিমছড়ি যেতে চাইলে কলাতলী মোড় থেকে লোকাল ইজি বাইক/অটোতে বসুন। হিমছড়ি পর্যন্ত মাত্র ২০ টাকা ভাড়ায় চলে যেতে পারবেন। ৫০ টাকা খরচ করে যাওয়া যায় ইনানি বিচ পর্যন্তুও।৭. সঠিক সময়ে চেক আউট করুন। হোটেলের চেক ইন সাধারণত দুপুর একটা আর চেক আউট সকাল ১১টার দিকে হয়। তাই আগেই হোটেলে জানিয়ে রাখুন সন্ধ্যা পর্যন্ত আপনি কী হোটেলের রুমে থাকতে পারবেন কি না। রুমে থাকতে না দিলে সঙ্গে ব্যাগ বা লাগেজ থাকলে তা রেখে যেতে পারেন হোটেল কাউন্টারে। সারাদিন ঘুরে ফিরে সন্ধ্যায় হোটেলে গিয়ে ব্যাগ নিয়ে চলে যেতে পারেন বাস কাউন্টারে।
৮. কক্সবাজারে খাবারের জন্য অনেক খরচ হয়ে যায়। একসঙ্গে কয়েকজন গেলে অবশ্য খাওয়ার খরচসহ সব খরচই কমে আসে। মূল খাবারের জন্য যে তরকারি নেবেন সেটিও ভাগ করে খাওয়া যায়। একা ভ্রমণের ক্ষেত্রে শহরে গিয়ে খেলেও খাবারের খরচ অনেক কমে যাবে।
নয়া শতাব্দী/এসএম/এমটি
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ