ঢাকা, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ৮ জিলকদ ১৪৪৪

সেন্সর বোর্ডে আটকা চলচ্চিত্র ‘মনোলোক’

প্রকাশনার সময়: ২৪ মে ২০২৩, ০৭:৩৩
ছবি : সংগৃহীত

হাব মিডিয়া ইউ কে প্রযোজিত শহীদ রায়হান রচিত ও নির্মিত গবেষণামূলক ব্যতিক্রমী চলচ্চিত্র ‘মনোলোক’। ‘মনোলোক’ চলচ্চিত্রের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন নিপুণ আকতার, ফজলুর রহমান বাবু, দিপা খন্দকার, সমু চৌধুরী, ড. এম এ বারী, সঙ্গীতা চৌধুরী, এ কে আজাদ সেতু, জয়িতা মহালনবিশ, নেয়াজ তারেক, মাসুদ মহিউদ্দিন, আশরাফুল আশীষ, আরিয়ানসহ আরও অনেকে।

নির্মাতা সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিদের অচেতন মনে লুকিয়ে থাকা রাজনৈতিক প্রবাহ এবং স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ নির্ধারণে সংঘটিত রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহের কাল্পনিক বিশ্লেষন ‘মনোলোক’ চলচ্চিত্র।

নির্মাতা শহীদ রায়হান জানান, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত বাংলাদেশকে গড়ে তোলা এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে; জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার চিন্তালোকে লালিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ে আদর্শিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে; বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের কর্মকাণ্ড আর ত্যাগের মহিমায় আবর্তিত ‘মনোলোক’ চলচ্চিত্র।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অংশ হতে পারে এই চলচ্চিত্রটি অথচ দীর্ঘদিন ধরে সেন্সরবোর্ডে আটকা পড়ে আছে চলচ্চিত্রটি। এই অবস্থায় চলচ্চিত্রটি সেন্সরবোর্ডে প্রদর্শন করে ছাড়পত্র প্রদানের মাধ্যমে দর্শকদের দেখাতে উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, চলচ্চিত্রটি গত ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে জমা পড়ে। অদ্যাবধি চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের প্রদর্শন তালিকায় স্থান পায়নি। ফলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে চলচ্চিত্রটি ছাড়পত্রের জন্য প্রদর্শিত হয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে চলচ্চিত্রটি প্রিভিউ না করে গত ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের উপপরিচালক মো. মঈনউদ্দীন কর্তৃক স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে ব্যবহূত রাজনৈতিক চরিত্রগুলোর সংলাপে ব্যবহূত তথ্যসমূহের বিধিসম্মত দালিলিক প্রমাণ তার দফতরে উপস্থাপনের নির্দেশ দেন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে চলচ্চিত্রটি প্রদর্শন না করে এমন নির্দেশ প্রদান বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড নীতিমালা বহির্ভূত কিনা সে প্রশ্ন উঠতেই পারে। তদুপরি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গত ২৫ এপ্রিল বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত আর্টিকেল, গবেষণা রিপোর্টের প্রকাশিত কপিসহ ৭৪টি প্রকাশিত ও প্রচারিত আর্টিকেলের প্রিন্ট কপি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট বরাবর উপস্থাপন করেন।

নয়া শতাব্দী/এমআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ