ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩, ২০ আশ্বিন ১৪৩০, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

ইবি কর্মকর্তা সমিতির সভাপতির ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ

প্রকাশনার সময়: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯:০৯

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলমের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে প্রশাসন ভবনের অর্থ ও হিসাব শাখার আসাদুজ্জামান মাখন নামের এক কর্মকর্তার কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নেতৃত্বে সংগঠনটির একাংশ এ হামলা করেন বলে দাবি কর্মকর্তা সমিতির সভাপতির। এছাড়াও কর্মকর্তাদের একাংশের ইন্ধনে এ ঘটনা ঘটেছে বলেও দাবি করেন তিনি।

ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ১৬ দফা দাবিতে গত ২৬ জুলাই থেকে লাগাতার আন্দোলন করে আসছে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। আন্দোলনের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার অর্থ ও হিসাব শাখার পরিচালক জাকির হোসেনকে কাজ করা থেকে বিরত থাকতে বলেন কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলম। তাদের মধ্যে কথপোকথনের এক পর্যায়ে আব্দুল হান্নান, মীর জিল্লুর রহমান, মনিরুল ইসলাম, মীর মোর্শদুর রহমান, আসাদুজ্জামান মাখন, জাহিদুল ইসলাম, তরারক হোসেন বাদলসহ কর্মকর্তাদের একাংশ সেখানে উপস্থিত হলে তাদের মাঝে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এসময় হান্নান মারমুখী আচরণ করে।

পরে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নেতৃত্বে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসাইন মজুমদার, কর্মী বিপুল হোসাইন খান, বাঁধন, শাহিনসহ ২০/২৫ জন ছাত্রলীগকর্মী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এসময় তারা এমদাদুল আলমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও হামলা করেন। তারা কর্মকর্তা সমিতির সভাপতিকে বাইরে নিয়ে পেটানোর হুমকি দেয়।

এ ঘটনার পর বিকাল সাড়ে ৪টায় তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন করে কর্মকর্তা সমিতি। এসময় ভুক্তভোগী বলেন, কয়েকজন কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগের একাংশ একত্রে এ হামলা করেছে। তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছে ও আক্রমণ করেছে। এমনকি বাইরে নিয়ে পেটাতেও চেয়েছেন। প্রক্টরের উপস্থিতিতে এ ঘটনা ঘটলেও তিনি কোনো ভূমিকা পালন করেননি। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

তিনি বলেন, আমি মনে করি এটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা। এরকম ঘটনায় আমি মানসিকভাবে আহত হয়েছি। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

অভিযুক্ত কর্মকর্তা মীর মোর্শেদুর রহমান বলেন, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট। অর্থ ও হিসাব শাখার পরিচালক ফাইল স্বাক্ষর করায় কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি তাকে ঘুষি মারতে গিয়েছিলেন ৷ এসময় আমরা পরিস্থিতি শান্ত করতে গিয়েছিলাম।

তবে এ কথা অস্বীকার করে জাকির হোসেন বলেন, এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। তিনি আমাকে ফাইল স্বাক্ষর করা থেকে বিরত থাকতে বললে প্রশাসনের নির্দেশে কাজ করছি বলে তাকে জানাই ৷ পরে অন্যান্য কর্মকর্তারা ঢুকলে তাদের মাঝে বাগবিতণ্ডা হয়।

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, তাদের এ দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। শিক্ষার্থীদের সাথে কোনো বিষয় নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। আমি পরে ঘটনাস্থলে গিয়েছি।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম। কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ