নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বাংলা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করেছে। এ সময় তারা ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন।
গত ১৬ জুলাই প্রথম সেমিস্টারের ‘গণমাধ্যম ও চলচ্চিত্র’ শিরোনামে বিএনজি ৫১৩ কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষা ছিল। এক সহপাঠী গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা কেউ এ পরীক্ষা দেয়নি। এরআগে সহপাঠীর গুরুতর অসুস্থতার কথা বিবেচনা করে বিভাগের কাছে পরীক্ষা পেছানোর আবেদন করেন তারা। কিন্তু বিভাগ তাদের এ আবেদন নাকচ করে দেয়।
জানা যায়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় পরীক্ষা না দেওয়া উল্লেখিত কোর্স নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়। যেখানে তাদেরকে পরবর্তী ব্যাচের সঙ্গে পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে, সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাভবন 'বি' এর সামনে মানববন্ধন ও নানা কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) থেকে সব ধরনের ক্লাস বর্জন করে তারা।
মানববন্ধন চলাকালীন শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ১৬ জুলাই বাংলা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তর প্রথম সেমিস্টারের ‘গণমাধ্যম ও চলচ্চিত্র’ শিরোনামে বিএনজি-৫১৩ কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষা ছিল। তখন আমাদের এক সহপাঠী দীর্ঘদিন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় আমরা মানবিক দিক বিবেচনা করে পরীক্ষা কয়েকদিন পেছাতে বিভাগের সাথে যোগাযোগ করি। তবে বিভাগের শিক্ষকরা নিয়মিত রুটিনেই পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তে অটুট থাকে। এতে আমাদের ব্যাচের কোনো শিক্ষার্থীই পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, গত বছর খেলাধুলার জন্য আমাদের বিভাগীয় প্রধান পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তন করেছিলেন। কিন্তু এবার আমাদের এক সহপাঠী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় পরীক্ষাটি কয়েকদিন পিছিয়ে দিতে আবেদন করেছি। বিভাগের শিক্ষকরা পরীক্ষা না পিছিয়ে আগের রুটিনে নেওয়ার কথা জানায়। তাই আমরা পরীক্ষায় অংশ নেইনি। তবে পরীক্ষার রুটির পরিবর্তন করার ক্ষমতা সম্পূর্ণ বিভাগের হাতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুজিবুর রহমান।
এ বিষয়ে বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ফারজানা সিদ্দিকা বলেন, শিক্ষার্থীদের এ ব্যাপারে আমি কোনো কথা বলতে চাচ্ছি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল যে সিদ্ধান্ত নিবে আমরা তাই করব।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন বলেন, বিভাগ চাইলে বিষয়টি সমাধান করে দিতে পারত। তারা রুটিন পরিবর্তন করে পরীক্ষা নিয়ে সে অনুযায়ী কন্ট্রোলারে জমা দিলে হয়ে যেত, কিন্তু সেটাতো হয়নি। বিভাগ সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়মিত রুটিনে পরীক্ষা হবে। ফলে তারা পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ায় বিষয়টি একাডেমিক কাউন্সিলে আসে। এখন একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে পরবর্তী সেমিস্টারের সাথে কোর্সটি তুলতে হবে। এখন পরীক্ষার সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে। তাদের স্পেশাল করে পরীক্ষা নেওয়ার আর সুযোগ নেই।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ