নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
নিত্যপণ্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস থামছে না সাধারণ মানুষের। অতি লাভের আশায় সাধারণ মানুষের পকেট কাটছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। তাই বাধ্য হয়ে বাধ্য আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম বেঁধে দেয় সরকার। কিন্তু সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের পরও আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু, পেঁয়াজ ও ডিম।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে বাজার ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় খুচরা বাজারে প্রতিটি ডিমের দাম ১২ টাকা, আলুর দাম প্রতিকেজি ৩৫-৩৬ টাকা এবং পেঁয়াজের দাম ৬৪-৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। ঘোষণার পর থেকেই বাজারে এ দাম কার্যকর হওয়ার কথা। তবে পরের দিন শুক্রবারও সেটা হয়নি।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউনহল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি হালি ডিম আগের মতো ৫০ থেকে ৫২ টাকা এবং ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। প্রতি কেজি সাদা আলু ৫০ টাকা এবং লাল আলু ৫৫ টাকায় রয়ে গেছে। কমেনি পেঁয়াজের দামও। ভারতের আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বাজার করতে আসা নাঈম নামে এক ক্রেতা বলেন, দিন যতই যাচ্ছে নিত্যপণ্যের দাম ততই বেড়েই চলছে। অথচ বাজারে মাঝেমধ্যেই ভ্রাম্যমান আদালতও পরিচালনা হচ্ছে, তবুও কিছুতেই দাম কমছে না। অসাধু ব্যবসায়ীরা এত পরিমাণ দাম বাড়িয়ে টাকা লুট করছে তার কোনো ঠিক নেই। এ বিষয়ে সরকার যদি আরও কঠোর হয় তাহলে হয়তো বাজারে কিছু স্বস্তি ফিরছে।
সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে পণ্য বিক্রি করছেন না কেন-এমন প্রশ্নের জবাবে বিক্রেতাদের অজুহাতের শেষ নেই। কয়েকজন বিক্রেতা আবার বলছেন তারা নাকি বেঁধে দেওয়া দামের বিষয়টি জানেন-ই না। তবে অধিকাংশরা বলছেন বেঁধে দেওয়া দাম কার্যকর হতে কিছুটা সময় লাগবে।
এর আগে যতবারই ভোজ্যতেল ও চিনির দর নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল, খুচরা থেকে সরবরাহকারী কাউকেই তা মানতে দেখা যায়নি। ফলে ভোক্তারা দাম কমার সুফল পান না।
এদিকে, বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বেঁধে দেওয়া দাম বাস্তবায়নে ভোক্তা অধিদফতর থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) বাজার মনিটরিং করবেন। জেলা-উপজেলাসহ বড় বড় শহরে মনিটরিং চলবে। সর্বাত্মক শক্তি নিয়ে বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দাম নির্ধারণের সিদ্ধান্তটি যৌক্তিক। তবে মুখে মুখে দাম বেঁধে দিলেই হবে না। এর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। পণ্য সরবরাহ না বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করলে তা কার্যকর হবে না। পাশাপাশি কৃত্রিম সংকট হচ্ছে কিনা, তা তদারকি করে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একই বৈঠকে সয়াবিন তেলের দাম কমানোর ঘোষণাও দেয়। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন দাম ৫ টাকা কমে এখন ১৬৯ টাকা হওয়ার কথা। তবে বাজারে এখনো কম দামের তেল সরবরাহ হয়নি। ফলে ভোক্তাকে সেই আগের ৫ টাকা বেশি দাম গুনতে হচ্ছে। প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৭৪ টাকা দরে।
নয়াশতাব্দী/এমটি
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ