নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
বাগেরহাটে জয়ীতার সম্মানী নিয়ে নানা টালবাহানা শুরু হয়েছে। গত ৯ নভেম্বর খুলনায় অনুষ্ঠিত জেলার শেষ্ঠ জয়ীতাদের সংবধনা দেওয়া হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা । এ সময় জেলার শেষ্ঠ জয়ীতাদের প্রত্যেককে নগদ পাঁচ হাজার টাকা, সনদপত্র ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
বাগেরহাট থেকে যে সকল জয়ীতা সম্মাননা পেয়েছে তাদের মধ্যে অনেককে শুধু ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেওয়া হয়েছে। ঐ সময় টাকা দেয়নি উপ পরিচালক নাজমুন নাহার।
এ দিকে সফল জননী নারী হিসেবে জয়ীতা সম্মাননা পেয়েছেন শরন খোলার গোলেনূর বেগম। তিনি ঢাকায় থাকার কারণে তার বোন ক্রেস্ট ও সনদপত্র গ্রহণ করেছেন আর টাকা গ্রহণ করেছেন উপ পরিচালক নাজমুন নাহার।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, তৎকালীন উপ পরিচালক নাজমুন নাহার তিনজনের ১৫ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। পরবতীতে তাদের টাকা তাদের হাতে না পৌঁছালে অধিদফতরের অতিরিক্ত সচিব ওয়াহিদুজ্জামানের হস্তক্ষেপে গোলেনূর বেগম এর টাকা শরণখোলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আ. হাই এর বিকাশ নম্বরে প্রেরণ করেন। বাকি দুইজনের টাকা এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বুধবার রাত ৮ টা) জয়ীতা বিজয়ীদের হাতে পৌঁছায়নি।
এ বিষয়ে মংলা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ইশরাৎ জাহান জানান, আমার উপজেলার শামিমা ইয়াসমিন উপস্থিত না হওয়ার কারণে ওনার ক্রেস্ট ও সনদপত্র আমি গ্রহণ করেছি আর নগদ পাঁচ হাজার টাকা আমাদের উপ পরিচালক নাজমুন নাহার ম্যাডাম স্বাক্ষর দিয়ে গ্রহণ করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র জানায়, ৮ নভেম্বর সকাল দশটায় খুলনায় অনুষ্ঠিত মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির অবহিতকরণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ কারীদের সম্মানী ভাতা বাবদ ১৮০০ টাকা প্রদান করেন। সূত্রটি জানায়, সাতক্ষীরা, নড়াইল ও যশোর থেকে যে সকল উপজেলা কর্মকর্তারা এসেছে প্রত্যেককে সম্মানী ভাতা প্রদান করা হয়েছে। বাগেরহাটের কর্মকর্তাদের কোন সম্মানী দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে শরণখোলা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আ. হাই জানান, আমরা টাকাটি পাব তবে বিল করে জেলা অফিস থেকে নিতে বলেছেন উপপরিচালক নাজমুন নাহার ম্যাডাম।
নয়াশতাব্দী/জেডএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ