নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে রেলওয়ের জমিতে মাদরাসা নির্মাণ কাজে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
বুধবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে পৌর শহরের ভৈরবপুর উত্তরপাড়া এলাকায় জমির মুন্সি বাড়ির দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিত নিযন্ত্রণে আনে। ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার জমির মুন্সি বাড়ির পাশে রেলওয়ের জমিতে বীরু মোল্লা সুন্নিয়া মাদরাসার ঘর নির্মাণ কাজ করার সময় রেলওয়ের জায়গা নিজের দাবি করে কাজে বাধা দেয় একই বাড়ির অহিদ মিয়ার পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনার জেরে বুধবার দুপুরেও কাজে বাধা দেওয়ায় দুই পক্ষের লোকজন দা, বল্লম, লাঠিসোঁটা, ইট-পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
এ ঘটনায় জমির মালিক দাবিকারী অহিদ মিয়ার ছেলে মুক্তার হোসেন বলেন, রেলওয়ের সম্পত্তিটি আমার দাদা নূর হুদা মিয়ার নামে ছিল। পরবর্তীতে এ রেলওয়ের সম্পত্তি আমার চাচা আলম মিয়ার নামে আসে। কিন্তু শুরু থেকে দীর্ঘদিন যাবত জমির মুন্সির বাড়ির লোকজন মাদরাসার নামে আমাদের সম্পত্তিগুলো হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। আমার দাদার নামে সম্পত্তি কিন্তু তারা আমাদেরকে না বলে জোর দখল করে মাদ্রাসা ও মার্কেট নির্মাণ করছে। আমরা তাদের বাধা দিলে তারা আমাদের উপর চড়াও হয়। এ ঘটনায় আমিসহ আমার সাথে আরও ৫ জন আহত হয়েছে।
বীরু মোল্লা সুন্নিয়া হাফিজিয়া মাদরাসার সভাপতি শেফাত উল্লাহ জানান, মাদরাসার জায়গাটি পূর্বে আমাদের ভাতিজা মোস্তাকসহ আরেকজনের ছিল। পরবর্তীতে মাদ্রাসাকে তারা রেলওয়ের জায়গাটি দিয়ে দেয়। আমি সভাপতির দায়িত্বে আসার পর জায়গাটি আমি ও মাদরাসার সাধারণ সম্পাদকের নামে রেলওয়ে মন্ত্রণালয় থেকে লিজ নিয়ে আসি। মাদরাসার ঘর নির্মাণ করতে গেলে এলাকার কিছু দুস্কৃতকারী বাধা দেয়। তারা আমার মাদরাসার সুপারেন্টেন্ডকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আজ সকালে অহিদ মিয়ার ছেলে মুক্তার ও মোসাব্বিরসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা মাদরাসার কাজে বাধা দেয়। তা প্রতিহত করতেই সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। রেলওয়ের সম্পত্তিতে মাদরাসা নির্মাণ নিয়ে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নয়া শতাব্দী/এসএ/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ