নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই উন্নয়নগুলো দেখতে পান না। সারাদিন বক্তৃতা করে বেড়ান দেশ ধ্বংস হয়ে গেলো, দেশ থাকবে না। দেশ না থাকলে আপনাদের তো মন খারাপ হওয়ার কথা নয়, কারণ আপনারা তো দেশটাকে পাকিস্তান বানাতে চান। তারা ক্ষমতায় গিয়ে দেশকে ধ্বংস করে ফেলেছিল। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় গিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়েছে। অর্থনৈতিক সব সেক্টরে দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্ব নেতাদের রেফারেন্স হয়ে উঠেছে।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দিনাজপুরের নশিপুরের বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটে একটি কেন্দ্রীয় গবেষণা কমপ্লেক্সের উদ্বোধন ও গ্রিনহাউজে গমের ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী জাত উদ্ভাবনসহ চলমান গবেষণা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এখানকার বিজ্ঞানীদের উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আগামীতে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা কেন্দ্র হবে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট। আর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই গবেষণা প্রতিষ্ঠান একটি বিরাট ভূমিকা রাখবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি ও কৃষিখাদ্য নিরাপত্তার জন্য গম ও ভুট্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে, সরকার এখন সবার জন্য পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিতের লক্ষে কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাই আমরা গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, কৃষিকে বাণিজ্যিকিকরণ ও লাভজনক করতে চাই। কৃষি হবে উন্নত জীবনের জন্য। একজন কৃষক যাতে কৃষিকাজ করে তার সন্তানসহ পরিবারকে উন্নত জীবনযাপন করাতে পারে সরকার সেই লক্ষে কাজ করছে। তাই দিনাজপুরের সম্ভাবনাকে শতভাগ ব্যবহারের জন্য সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কৃষি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করছে। কৃষি নিয়ে এখন কী প্রযুক্তি রয়েছে এবং আগামীতে কী ধরনের প্রযুক্তি লাগবে তা
নিয়েও সরকার কাজ করছে।বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিশেষ অতিথি নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া প্রমুখ।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ