ঢাকা, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩, ১৯ আশ্বিন ১৪৩০, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

ছাত্রলীগকর্মী মনা হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ৯

প্রকাশনার সময়: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬:৪৩

পাবনার ঈশ্বরদীতে পদ্মা নদীতে অবৈধ বালুর ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যকর ছাত্রলীগকর্মী তফসির আহমেদ মনা (২৫) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তিনটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে পাবনা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সি এ তথ্য জানান।

নিহত তাফসির আহমেদ মনা উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের রূপপুর পাকারাস্তা মোড় এলাকার তাইজুর রহমান তুহিনের ছেলে। তিনি পাকশী ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ঈশ্বরদীর নতুন রূপপুর গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে মানিক হোসেন (৩৬), সাহাপুর ইউনিয়নের দিয়ার সাহাপুর গ্রামের মুহিদুল হকের ছেলে ফসিউল আলম অনিক (২৭), নতুন রূপপুরের রূপপুরপাড়া এলাকার আতিয়ার রহমানের ছেলে চমন রহমান (৩৮), চর সাহাপুর গ্রামের আক্তার সরদারের ছেলে শাহিন সরদার (২৮), নতুন রূপপুর গ্রামের আজিজ প্রামাণিকের ছেলে রাজিব প্রামানিক (৩০), চররূপপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম (৩২), সলিমপুর গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে আমজাদ হোসেন অবুঝ (৩৭), চররূপপুর গ্রামের মনিরুল ইসলাম (৩৪), লক্ষীকুন্ডা গ্রামের মাহফুজুর রহমান কালা (৩৫)।

পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সি বলেন, নিহত মনা গত ১৭ জুন রাতে লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামে এমপি মার্কেটে ইকবালের অফিসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ অবস্থায় রাত ১০ টার দিকে ৩ জন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিকদের অ্যাপ্রোন ও হেলমেট পড়ে মোটরসাইকেলযোগে এসে মনাকে ৫/৬ রাউন্ড গুলি করে এবং মৃত্যু নিশ্চিত করে দ্রুত পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহত মনার মা নাহিদা আক্তার লিপি ঘটনার দুই দিন পর ১৯ জুন বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা অনিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা, গাজীপুর, কুষ্টিয়া এবং পাবনার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিলিং মিশনে সরাসরি অংশগ্রহণকারী মানিকসহ তাদের অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। অভিযানকালে জিগাতলা এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধানসহ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম এবং ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়।

আকবর আলী মুন্সি আরও জানান, আসামিরদের সাথে মনা পরিবারের দীর্ঘদিনের শত্রুতা, চাঁদাবাজি এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এর সঙ্গে বালু মহলের নিয়ন্ত্রণ আছে। বালু মহলও আধিপত্য বিস্তারের অন্যতম কারণ।

আসামিদের মধ্যে অবুঝের বিরুদ্ধে পাঁচটি, কালার বিরুদ্ধে ৪টি, মানিকের বিরুদ্ধে ১১টি, চমনের বিরুদ্ধে ১০টি, অনিকের বিরুদ্ধে ৫টি, রাজিবের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে পাবনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম, ঈশ্বরদীর ওসি অরবিন্দ সরকারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ