নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
পাবনার ঈশ্বরদীতে অভিনব কায়দায় রাতের আঁধারে বসতবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের বিদ্যুতের মিটার চুরি করে সেখানে মোবাইল নম্বর লিখে রেখে যাচ্ছে চোরচক্র। সে নম্বরে যোগাযোগ করলে মিটার প্রতি ৫-১৫ হাজার টাকা দাবি করেছে। বিকাশে টাকা পাঠালেই মিলছে এসব মিটার।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার মুলাডুলি ও দাশুড়িয়া, বহরমপুর এলাকায় বৈদ্যুতিক মিটার চুরি বেশি হয়েছে। মিটার চুরি আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন গ্রামের বাসিন্দারা। তারা বলেন, যেভাবে মিটার চুরি হচ্ছে তা সাধারণ চোরের পক্ষে চুরি করা সম্ভব নয়। যারা বিদ্যুতের কাজের সঙ্গে জড়িত তারাই এসব চুরি করছে। শুধু মিটারই না বিদ্যুৎ টাওয়ারের তার পর্যন্ত কেটে নেওয়া হচ্ছে। এসব চুরির ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
ভুক্তভোগী বজলুর রহমান জানান, এমনিতেই দিন-রাতে সমান তালে লোডশেডিং চলে। সম্প্রতি রাতের আঁধারে সংঘবদ্ধ চোরচক্র বহরপুর গ্রামের ১৫টি মিটার খুলে নিয়ে যায়। সকাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ না আসায় আশপাশে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় বিদ্যুৎ আছে। পরে মিটারের কাছে গিয়ে দেখা যায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মিটার চোরে নিয়ে গেছে। মিটারের বক্সের সঙ্গে একটি মোবাইল নম্বর লিখে কাগজ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
ভুক্তভোগী আরমান আলী বলেন, রাত সাড়ে ৩টার দিকে বিদ্যুৎ চলে যায়। আমি ভেবেছি লোডশেডিং হয়েছে। সকালে আমার বাড়ির অন্য অংশে আরেকটি মিটার ছিল সেখানে বিদ্যুতের সংযোগ দেখতে পেলাম। পরে বাড়ির ও ধান চাতালের মিটারের কাছে এসে দেখি সেগুলো চুরি হয়ে গেছে। সেখানে চোরের রেখে যাওয়া নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, একটি মিটারের জন্য বিকাশে ১৪ হাজার টাকা দিতে হবে। পরে দরদাম করে মিটার দুটির জন্য বিকাশে টাকা পাঠিয়েছি। তারপর তারা জানাল একটি মিটার ধানের খড়ের পালায় ও আরেকটি খাদের পাশে রাখা আছে।
উপজেলার মুলাডুলি এলাকার ভুক্তভোগীরা জানান, বিকাশে টাকা দেওয়ার পর তারা মিটার কোথায় আছে তা বলে দিচ্ছে। শুধু এ এলাকাতেই নয় পার্শ্ববর্তী রামচন্দ্রপুর, মুলাডুলি, দাশুড়িয়া ও রাজাপুর এলাকায় মিটার চুরি হয়েছে।
পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দাশুড়িয়া জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার কামাল হোসেন জানান, এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, বিদ্যুৎ অফিস থেকে একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ