নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ। এতে দুর্ভোগে পড়ছেন দক্ষিণাঞ্চলের অগ্নিদগ্ধ রোগীরা। বার্ন ইউনিটের দায়িত্ব পালনকারী এক নার্স জানিয়েছেন, ইউনিটটি চালু না থাকায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে আসা মানুষ এখানে এসে ফেরত যাচ্ছেন।
দরিদ্র রোগী ও স্বজনরা এসে আহাজারি করছেন। অর্থের অভাবে ঢাকায় যেতে না পারা রোগীরা শেবাচিমের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাসেবা নিতে বাধ্য হচ্ছেন বলেও জানান তিনি। সূত্রমতে, গত বছরের এপ্রিল মাসে শেবাচিমের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. এমএ আজাদের মৃত্যুর পর থেকেই কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বার্ন ইউনিটটি। সর্বশেষ ওই বছরের ১৫ মে থেকে ইউনিটটি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১২ মার্চ হাসপাতালের নিচতলায় আটটি শয্যা নিয়ে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ চালু করা হয়েছিল। আটজন চিকিৎসক ও ১৬ জন নার্স নিয়ে বিভাগটির যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ইউনিটটি ৩০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। সপ্তাহে দু’দিন কমপক্ষে ১০ জন রোগীর অপারেশন করা হতো এ ইউনিটে।
চালু থাকা পাঁচ বছরে পাঁচ হাজারেরও অধিক রোগী বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিয়েছেন। গত বছর ইউনিটটি বন্ধ করে দেয়া হলেও দায়িত্বরত নার্স ও কর্মচারীরা রুটিনমাফিক ওই ওয়ার্ডেই দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম জানান, অগ্নিদগ্ধ যেসব রোগী আসছেন তাদের সার্জারি ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। রোগীর অবস্থা গুরুতর হলে তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। তিনি আরো বলেন, এক হাজার বেডের এ হাসপাতালে চিকিৎসকসহ জনবল রয়েছে অর্ধেকেরও কম।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ