ঢাকা, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ৮ জিলকদ ১৪৪৪

যমুনা অয়েলের সিবিএ নেতা এয়াকুবকে ফাঁসাতে সক্রিয় চক্র!

প্রকাশনার সময়: ২৫ মে ২০২৩, ২৩:২৪ | আপডেট: ২৫ মে ২০২৩, ২৩:২৬

যমুনা অয়েল কোম্পানির কর্মচারীকে মারধর এবং প্রকাশ্যে হত্যার হুমকির অভিযোগে যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক সিবিএ নেতা ইফতেখার কামাল খানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন যমুনা অয়েল সিবিএ সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ অয়েল এন্ড গ্যাস ওয়ার্কাস ফেডারেশনের মহাসচিব মুহাম্মদ এয়াকুব।

গত ১৫ মে নগরীর খুলশী থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে, মামলা করার পর সাবেক সিবিএ নেতা ইফতেখার কামাল খানের নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়ত চক্রের একটি গ্রুপ সিবিএ নেতা এয়াকুবকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করে আসছে। ইফতেখার কামাল খানের চক্রান্তের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ইতোমধ্যে প্রকাশ্য প্রমাণিত হয়েছে। ফেসবুকসহ অন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সিবিএ নেতা এয়াকুবের চরিত্র হনন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেয় করার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক সিবিএ নেতা ইফতেখার কামাল খানের চাকরি চলে গেলেও মাঝে মধ্যে অফিসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সাবেক সিবিএ নেতা ইফতেখার কামাল খানসহ সিবিএ নেতা এয়াকুবের বাসায় হামলা ও কর্মচারীকে মারধরের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে যমুনা অয়েল কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

যমুনা অয়েলের সিবিএ নেতা মুহাম্মদ এয়াকুব অভিযোগ করেন, শিক্ষাগত সনদ জালিয়াতির অভিযোগে যমুনা অয়েল কোম্পানী থেকে চাকরিচ্যুত কর্মচারী ইফতেখার কামাল খান দীর্ঘদিন যাবত তাকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। মিথ্যা মামলা ও বিভিন্ন সরকারি সংস্থায় বেনামি ভুয়া অভিযোগ করে হয়রানি করে আসছে।

উক্ত বিরোধের জের ধরে গত ১০ মে নগরীর দামপাড়া হাইলেভেল রোডস্থ মানারাত ইদ্রিস প্যালেস এর তার বাসভবনের নিচ তলায় ইফতেখার কামাল খানের নেতৃত্বে ৫/৬ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি অনধিকার প্রবেশ করে শ্রমিক নেতা এয়াকুবকে খোঁজতে থাকে। যা সিসি ক্যামেরায় ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষিত রয়েছে। তারা এয়াকুবকে না পেয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তার অফিস কর্মচারী মো. ফারুক এবং ড্রাইভার মো. ফজুকে বাসার বাইরে রাস্তায় নিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে।

এতে ড্রাইভার ফজু গুরুতর জখম হয়। এ সময় শ্রমিক নেতা মুহাম্মদ এয়াকুব অফিসের কাজে ঢাকায় ছিলেন। তিনি ঢাকা থেকে ফিরে এসে ১৫ মে খুলশী থানায় ইফতেখার কামাল খান ও আবদুল হামিদকে আসামি করে অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে উক্ত মামলাটি করেন। খুলশী থানায় এস.আই দিপলু কুমার বড়ুয়া মামলাটি তদন্ত করছেন।

এ বিষয়ে সিবিএ নেতা এয়াকুব বলেন, আমার বাসায় এসে আমাকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি এবং হামলা চালিয়েছে ইফতেখার কামাল খানসহ একটি সন্ত্রাসী বাহিনী। আমি মামলা করার পর একটি চক্র আমাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করে আসছে। আমি ব্যাংক লোন নিয়ে বাড়ি কিনছি অথচ এখনো লোন পরিশোধ শেষ হয়নি। এটা নিয়ে পর্যন্ত অপপ্রচার করে আমার মানহানি করা হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।

এ বিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য সাবেক সিবিএ ইফতেখার কামাল খানের সাথে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

নয়া শতাব্দী/এসআর/এমটি

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ