নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
দুচোখে নেই আলো। তবুও থেমে নেই জীবন। অন্ধ দুচোখ নিয়েই কৃষি কাজ করে চলছেন কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুরের দক্ষিণ কুড়িমারার আজহারুল ইসলামের রতনের সংসার। দুই মেয়ে তৃষা, উষা আর স্ত্রী সোহাগী নাসরিন পান্নাকে নিয়ে ছোট্ট একটি টিনের ঘরে বসবাস করেন অন্ধ রতন।
তবে রতনের জীবন এমন ছিল না। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি পাস করে ঢাকার ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ড স্কুলে একাউন্ট ডিপার্টমেন্টে চাকরি করতেন। ভালোভাবেই চলছিল সংসার। ২০১১ সালে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হারিয়ে ফেলেন দুচোখের দৃষ্টি। অনেক চিকিৎসার পরও আর ফেরানো যায়নি চোখের দৃষ্টি। এরপর থেকে শুরু হয় রতনের সংগ্রামী জীবন।
তবে চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, ভারতে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে তার একটা চোখের দৃষ্টি ফেরানো সম্ভব। কিন্তু অর্থের কাছে হার মেনে অন্ধ দুচোখ নিয়েই থেমে রইলেন রতন। ছোট একটি টিনের ঘরের ভিটে ছাড়া আর কিছুই নেই রতনের। অন্যের জমিতে ধান চাষ করে অর্ধেক নিজে নেন আর অর্ধেক মালিককে দেন।
রতন জানান, খেয়ে-বেঁচে থাকতে তো হবে। এভাবে আস্তে আস্তে কাজ করতে করতে অভ্যাস হয়ে গেছে। বড় মেয়ে তাকে চলাফেরায় সহযোগিতা করেন।
এদিকে রতনের স্ত্রী জানান, কোনো মতে কষ্টে চলছে তাদের সংসার। সরকার বা কেউ সহযোগিতা করলে তার স্বামীর একটি চোখের দৃষ্টি ফেরানো সম্ভব।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ