নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
বাবা অন্যের বাসায় কাজ করতেন। সেই বাসার নাইট স্কুলের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। কাজের কারণে তার আর পড়াশোনা হয়নি। তিনি চেয়েছিলেন একমাত্র ছেলে প্রতিষ্ঠিত হোক। পড়াশোনা করে বড় হোক।
তার স্বপ্ন পূরণ করেছেন ছেলে। বিসিএস পাস করে হয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক ডা.।
এই সোহানুর রহমান বর্তমানে কর্মরত আছেন নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। বড় হয়ে প্রতিষ্ঠিত হলেও এখনো বাবাকে কৃষিকাজে সময় দেন। গ্রামের বাড়ি এলে ক্ষেতে যান। চারা রোপণ করেন। সম্প্রতি বাড়ি এসে বাবার সঙ্গে জমিতে চারা রোপণের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এসব বিষয় নিয়ে ডা. সোহানুর রহমানের সঙ্গে কথা হলে জানান, গত শুক্রবার (২০ জানুয়ারি)। দুপুরের খাবারের পর বাবা পৌর এলাকার দরগাবাড়ির জমিতে ধান রোপণের জন্য বের হয়েছিলেন। এদিন সরকারি ছুটি থাকায় তার সঙ্গে জমিতে সময় দিয়েছি। ছোটোবেলা থেকেই এই অভ্যাসে ছিলো। তাই এখনো সময় পেলে বাবার সঙ্গে জমিতে নেমে পড়ি।
জানা গেছে, ডা. সোহানুর রহমান বাগাতিপাড়া পৌরসভার সোনাপাতিল মহল্লার সমশের আলীর একমাত্র ছেলে। তার একটি ছোট বোন আছে। তিনি উপজেলার দয়ারামপুর সেনানিবাসে অবস্থিত কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট স্যাপার কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ১৩-১৪ সেশন থেকে পাস করে ৪২তম বিসিএস পরীক্ষায় স্বাস্থ্য ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন।
সোহানুর রহমান বলেন, পারিবারিক অবস্থা ভালো ছিলো না। অনেক কষ্ট করে এই অবস্থায় এসেছি। বাবা কাজ করতে দিতেন না। জোর করে বাবার সঙ্গে কাজ করতাম। এমনকি ছোটবেলায় বিলে মাছ ধরে বাজারে বিক্রিও করেছি।
নয়াশতাব্দী/জেডএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ