ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩, ২০ আশ্বিন ১৪৩০, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

দেবর-ভাবিকে এক ঘরে রেখে ছিটকিনি দিতে চান রাঙ্গা

প্রকাশনার সময়: ২৫ আগস্ট ২০২৩, ২১:৩২
ফাইল ছবি

জাতীয় পার্টির ভাঙন ঠিক করতে দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ এবং দলটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরকে এক ঘরে রেখে বাইরে থেকে ছিটকিনি লাগিয়ে দিতে চান জাতীয় পার্টির চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে এ কথা বলেন তিনি।

ওই টকশোতে প্রশ্ন করা হয় আগামী নির্বাচনে যদি জাতীয় পার্টিকে ভূমিকা রাখতে হয় তাহলে এক হতে হবে সেটা সম্ভব কিনা- উত্তরে রাঙ্গা বলেন, ‘এটা আমাদের ব্যাপার না, এটা হলো দুইজনের ব্যাপার। একজন হলেন রওশন এরশাদ অন্যজন জি এম কাদের। তাদের দুজনকে এক ঘরে ঢুকিয়ে দেই, এরপর বাইরে থেকে ছিটকিনি দিয়ে তালা দিয়ে দেই। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনারা এক হইতে না পারবেন ততক্ষণ বের হইতে পারবেন না।’

একটা সিদ্ধান্ত দেন আমরা কি করব। তাহলে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। যদি জাতীয় পার্টির সবাই চায় তো আমি রওশন এরশাদকে বসিয়ে দিতে পারি। যেহেতু সে চলতে ফিরতে পারে না। তাই জি এম কাদেরকে তার বাসায় নিয়ে যাব। যেহেতু রওশন এরশাদ জিএম কাদেরের আপন ভাবি, বলেন তিনি।

দলের নেতৃত্ব নিয়ে কয়েক মাস ধরেই জাতীয় পার্টিতে চলছে নানা টানাপড়েন। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) ভারত সফরে থাকা জি এম কাদেরকে অব্যাহতি দিয়ে সকালে নিজেকে দলের চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন রওশন এরশাদ। এ নিয়ে দিনভর নানা নাটকীয়তার পর বিরোধীদলীয় নেতা বিকেলে ভুল স্বীকার করেন।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে দলের নেতারা একেকজন একেক কথা বলে আসছেন। তার মধ্যে ঘটে এমন ঘটনা। আর এ ঘটনায় রীতিমতো তোলপাড় সৃষ্টি হয় জাপায়।

রওশন এরশাদ জানান, ‘ভুলবশত এই চিঠি গণমাধ্যমে চলে গেছে। মূলত দলের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের চিঠি দেওয়ার কথা ছিল।’ সকালের চিঠি সংশোধন করে নতুন চিঠি গণমাধ্যমে সরবরাহ করা হবে বলেও জানান তিনি।

তবে দলের সাবেক মহাসচিব ও রওশনপন্থি নেতা মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত না মানলে চুন্নুরা রাস্তায় নামতে পারেন।’

মঙ্গলবার রওশন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমি বেগম রওশন এরশাদ, এমপি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা কো-চেয়ারম্যান এই মর্মে ঘোষণা করছি যে, পার্টির সিনিয়র নেতাদের পরামর্শে ও সিদ্ধান্তক্রমে দলের গতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করলাম।’

বিজ্ঞপ্তিতে রওশন লেখেন, “গত বছরের ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি, নানা ধরনের মামলা-মোকদ্দমা এবং দল পরিচালনায় ‘অযোগ্যতা ও অসাংগঠনিক আচরণের কারণে’ জি এম কাদেরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।”

এতে বলা হয়, ‘জাতীয় পার্টির একাংশের মেয়াদোত্তীর্ণ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। দলের চারজন কো-চেয়ারম্যান ও দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রধান পৃষ্ঠপোষককে ক্রান্তিকাল মোকাবিলায় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।’

এতে এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সালমা ইসলাম, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, নাসরিন জাহান রত্নার স্বাক্ষর ছিল।

নয়াশতাব্দী/এমটি

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ