নয়া শতাব্দী অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি।
নানা আলোচনা-সমালোচনার মুখে নেয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ২ লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার জন্য ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার প্রকল্পের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে সরকার। ফলে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৫০ আসনে ভোট করতে নেয়া ইভিএম প্রকল্পটি স্থগিত ঘোষণা করেছে ইসি।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ইসি সচিব বলেন, আমরা পরিকল্পনা কমিশন থেকে সিদ্ধান্ত পেয়েছি। এই মুহূর্তে প্রকল্পটি তারা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাতিল হচ্ছে বলা যাবে না। তবে এ মুহূর্তে প্রকল্পটি পাস হচ্ছে না। তবে বর্তমান সক্ষমতায় অন্তত ৬০ থেকে ৭০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলের ডিসি সম্মেলনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আর্থিক কারণে নির্বাচন কমিশনের ইভিএম প্রকল্প বাতিল করা হয়নি, জনগণের খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তায় অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। জনগণকে অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম করতে কাজ করছে বর্তমান সরকার।
অন্যদিকে মঙ্গলবার সকালে ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বকশীবাজারে নবকুমার ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে শহীদ মতিউর রহমানের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা ৩০০ আসনের ইভিএমে নির্বাচন করতে চায়। তবে এ বিষয়ে ইসি যে সিদ্ধান্ত নেবে তা মেনে নেবে আওয়ামী লীগ।
এর আগে গত ৮ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা জানিয়েছিলেন, চলতি বছর ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ইভিএম নতুন প্রকল্প পাস না হলে ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি নিতে হবে।
মূলত ২০১১ সালের পর থেকে সীমিত পরিসরে ইভিএম ব্যবহার শুরু হয়। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাত্র ছয়টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হয়। পরে বর্তমান কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়।
উল্লেখ্য, গেল বছরের আগস্টে ইসির সংলাপে ২২টি রাজনৈতিক দল ইভিএম নিয়ে মতামত দিয়েছিল। এর মধ্যে ৯টি দল সরাসরি ইভিএমের বিপক্ষে মত দিয়েছে। আরও পাঁচটি দল ইভিএম নিয়ে সংশয় ও সন্দেহের কথা বলেছে। কেবল আওয়ামী লীগসহ চারটি দল ইভিএমে ভোট চেয়েছে।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ